‘জিও ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, বাংলা ২০১৭’ প্রতিযোগিতায় এবার বাংলাদেশের দর্শকদের আগ্রহ ছিল একটু বেশি। কারণ এবার সেরা নায়িকা বিভাগে অরিন্দম শীলের ‘ঈগলের চোখ’ ছবির জন্য মনোনয়ন পান বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা জয়া আহসান। এই বিভাগে আরও মনোনয়ন পান গার্গি রায় চৌধুরী (বেঁচে থাকার গান), পাওলি দাম (ক্ষত), রাইমা সেন (মনচোরা), ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (প্রাক্তণ) আর স্বস্তিকা মুখার্জি (সাহেব বিবি গোলাম)। শেষ পর্যন্ত পুরস্কার পেয়েছেন স্বস্তিকা মুখার্জি। কিন্তু বুদাপেস্টে শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি তিনি।
গতকাল শনিবার রাতে ভারতের কলকাতার সায়েন্স সিটিতে অনুষ্ঠিত হয় ‘জিও ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, বাংলা ২০১৭’ প্রদান অনুষ্ঠান। এবার সেরা ছবির পুরস্কার পেয়েছে ‘সিনেমাওয়ালা’। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের এক জনপদের গল্প নিয়ে গৌতম ঘোষ তৈরি করেন চলচ্চিত্র ‘শঙ্খচিল’। ছবিটি প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও আশীর্বাদ চলচ্চিত্র। ছবিতে ভূগোল শিক্ষকের চরিত্রে অভিনয় করেন প্রসেনজিৎ। তিনি পেয়েছেন সেরা নায়কের পুরস্কার।
এবার সর্বোচ্চ পাঁচটি পুরস্কার পেয়েছে ‘সাহেব বিবি গোলাম’—সেরা নায়িকা, সেরা পার্শ্ব অভিনেতা, সেরা ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর, সেরা সিনেমাটোগ্রাফি ও সেরা চিত্রনাট্য। আর চারটি পুরস্কার পেয়েছে ‘সিনেমাওয়ালা’—সেরা ছবি, সেরা পরিচালক, সেরা প্রোডাকশন ডিজাইন ও সেরা কাহিনি। ছবিটির জন্য সমালোচকদের বিচারে সেরা অভিনেতা হয়েছেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও চারটি পুরস্কার পেয়েছে ‘প্রাক্তণ’—সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী, সেরা মিউজিক অ্যালবাম, সেরা গীতিকার ও সেরা সংগীতশিল্পী (নারী)। ছবিটির জন্য সমালোচকদের বিচারে সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
‘জিও ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ২০১৭, বাংলা’ প্রদান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন যিশু সেনগুপ্ত, আবির চট্টোপাধ্যায় ও জুন মালিয়া। আর সঙ্গে ছিল দেব, নুসরাত জাহান আর অঙ্কুশের চোখ ধাঁধানো পারফরমেন্স।
এক নজরে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার বিজয়ীরা
সেরা ছবি : সিনেমাওয়ালা
সেরা পরিচালক : কৌশিক গাঙ্গুলী (সিনেমাওয়ালা)
সেরা নায়ক : প্রসেনজিৎ (শঙ্খচিল)
সেরা নায়িকা : স্বস্তিকা মুখার্জি (সাহেব বিবি গোলাম)
সেরা পার্শ্ব অভিনেতা : অনির্বাণ ভট্টাচার্য (ঈগলের চোখ) ও ঋত্বিক চক্রবর্তী (সাহেব বিবি গোলাম)
সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী : অপরাজিতা আঢ্য (প্রাক্তণ)
সেরা মিউজিক অ্যালবাম : অনুপম রায় ও অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় (প্রাক্তণ)
সেরা গীতিকার : অনুপম রায় (তুমি যাকে ভালোবাস, প্রাক্তণ)
সেরা সংগীতশিল্পী (পুরুষ) : নচিকেতা চক্রবর্তী (এক পুরোনো মসজিদে, জুলফিকার)
সেরা সংগীতশিল্পী (নারী) : ইমন চক্রবর্তী (তুমি যাকে ভালোবাস, প্রাক্তণ)
সেরা সম্পাদনা : সঞ্জীব দত্ত (সাহেব বিবি গোলাম)
সেরা সাউন্ড ডিজাইন : অনির্বাণ সেনগুপ্ত (শঙ্খচিল)
সেরা প্রোডাকশন ডিজাইন : ধনঞ্জয় মন্ডল (সিনেমাওয়ালা)
সেরা ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর : নীল অধিকারী (সাহেব বিবি গোলাম)
সেরা কোরিওগ্রাফি : বাবা যাদব (সেলফি, অভিমান)
সেরা সিনেমাটোগ্রাফি : গৈরিক সরকার (সাহেব বিবি গোলাম)
সেরা কাহিনি : কৌশিক গাঙ্গুলি (সিনেমাওয়ালা)
সেরা চিত্রনাট্য : প্রতিম ডি গুপ্ত (সাহেব বিবি গোলাম)
সেরা সংলাপ : শুভময় চট্টোপাধ্যায় (চোলাই)
সেরা ডেব্যু ছবি : অরিন্দম ভাট্টচার্য (অন্তর্লীন) ও অয়ন চক্রবর্তী (ষড়রীপু)
সেরা ডেব্যু নায়ক : যশ দাশগুপ্ত (গ্যাংস্টার)
সমালোচকদের বিচারে সেরা ছবি : অরুণ রায় (চোলাই)
সমালোচকদের বিচারে সেরা অভিনেতা : পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (সিনেমাওয়ালা)
সমালোচকদের বিচারে সেরা অভিনেত্রী : ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (প্রাক্তণ)
আজীবন সম্মাননা : সুপ্রিয়া দেবী