মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণাকে প্রত্যাখান করে পাল্টা পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে ওআইসি।
সংস্থাটির বিশেষ সম্মেলনে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ। সম্মেলন শেষে ভোরে তিনি ঢাকায় ফিরেছেন।
জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রর স্বীকৃতির প্রতিবাদে নিন্দার ঝড় ওঠে বিশ্বজুড়ে। মধ্যপ্রাচ্যসহ পুরো মুসলিম বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার তুরস্কের ইস্তানবুলে বিশেষ জরুরি সম্মেলনে বসে ৫৭টি মুসলিম দেশের সংগঠন ওআইসি। সম্মেলন শেষে বিবৃতিতে পূর্ব জেরুজালেমকে প্যালেস্টাইনের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দেয় বিশ্বনেতারা।
জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতির কড়া নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র এবং পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়
বিবৃতিতে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অবৈধ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত যে কোনো পরিস্থিতির জন্য ট্রাম্প প্রশাসনই দায়ী থাকবে বলে হুশিয়ার করা হয় সম্মেলন থেকে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে সংকট উত্তরণে আবারও দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের বিষয়টি উল্লেখ করেন মুসলিম নেতারা। পক্ষপাতের কারণে যুক্তরাষ্ট্র শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর যোগ্যতা হারিয়েছে বলেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। পাশাপাশি ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব বন্ধে জাতিসংঘকে কার্যকরী উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান।
সভায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, জেরুজালেম বিষয়ে বৈরী পদক্ষেপে ওআইসি দর্শক হয়ে থাকতে পারে না। জেরুজালেম বিষয়ে এ পর্যন্ত গৃহীত ওআইসির বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া
ওআইসির সম্মেলনের পর এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ফিলিস্তিনের উচিত উগ্রবাদকে প্রশ্রয় না দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা।
অন্যদিকে মাহমুদ আব্বাসের বক্তব্যের সমালোচনায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র হেদার নোয়ার্ট বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র অর্থপূর্ণ শান্তি চুক্তির জন্য ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে আলোচনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের বিষয়েও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কথা জানান তিনি।
ট্রাম্পের ঘোষণার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যসহ মুসলিম দেশগুলোতে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।