ফিটনেস ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়নের অধীনে মিরপুরে শুরু হয়েছে টাইগারদের কন্ডিশনিং ক্যাম্প। বরাবরের মতো প্রথমদিনে ছিল ব্লিপ টেস্ট। যাতে সর্বোচ্চ ১২.১০ লেভেল পয়েন্ট তুলেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর মুশফিকুর রহিম, ১২.৪।
বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের সামনে ব্যস্ত সূচি। নতুন বছরে দেশে-বিদেশে প্রচুর খেলা। জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি সিরিজ তার পরই। মাঠে নিজেদের সর্বোচ্চটা নিংড়ে দিতে সবচেয়ে জরুরি ফিটনেস। বুধবার যে পরীক্ষায় খারাপ করেননি বাংলাদেশ দলের প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটাররা।
ব্লিপ টেস্ট বা ২০ মিটার শাটল রানিং তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিসিবির স্থানীয় ট্রেনার ইফতেখারুল ইসলাম। চ্যানেল আই অনলাইনকে জানালেন, ‘সবার গড় করলে ১১.৫-এর উপরে হবে। এর নিচে হবে না। সবাই এখন ফিটনেস সচেতন। সুযোগ পেলেই ক্রিকেটাররা জিম করে।’
ব্লিপ টেস্টে সর্বোচ্চ পয়েন্ট তুলেছিলেন ইফতেখারুল নিজেই। ২০০৪ সালে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ক্যাম্পে থাকা অবস্থায় তিনি তুলেছিলেন ১৪.৭। সেটি এখনপর্যন্ত অতিক্রম করতে পারেননি দেশের কেউই!
জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৩.৬ তুলেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শান্ত ও সাব্বির রহমানও তুলেছেন ১৩-এর উপরে। সাধারণত ১২ লেভেলের ওপর হলেই সন্তোষজনক ধরা হয়। যদিও ক্যাম্পের শুরুর ভাগে লেভেল একটু কমই ওঠে। ফিটনেস নিয়ে কয়েকদিন কাজ করার পর আবার টেস্ট নিলে সেটি বেড়ে যায়।
টাইগারদের ফিটনেসে চোখে পড়ার মতো উন্নতি দেখা যায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে, ইংল্যান্ড সিরিজের আগে। লম্বা ক্যাম্পের পর ব্লিপ টেস্টের গড় লেভেল দাঁড়ায় ১১.৫। সেটিই ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ। এবার ক্যাম্পের শুরুতেই সেই মান ধরে রাখতে পেরেছেন টাইগাররা।
বুধবার ব্লিপ টেস্ট দিয়েছেন ২৭ ক্রিকেটার। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস ছিলেন না। অসুস্থ থাকায় ব্লিপ টেস্ট দেননি মোহাম্মদ মিঠুন। ক্যাম্পে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদানের দিন তাদেরও দিতে হবে বকেয়া ব্লিপ টেস্ট।