ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কারণে দুই বছর নিষিদ্ধ হয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, আইপিএলের দুইবারের চ্যাম্পিয়ন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস এবং সাবেক চ্যাম্পিয়ন রাজস্থান রয়্যালস। বিচারপতি রাজেন্দ্র মাল লোদাকে নিয়ে গঠিত ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কমিটি এই রায় দিয়েছেন।
চেন্নাইয়ের অন্যতম কর্ণধার ও আইসিসি’র বিতর্কিত চেয়ারম্যান এবং সাবেক ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান এন শ্রীনিবাসের জামাতা গুরুনাথ মায়াপ্পন এবং রাজস্থানের সাবেক মালিক বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির স্বামী রাজকুন্দ্রাকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কর্মকর্তাদের শাস্তি হলেও ফিক্সিং কেলেংকারির সঙ্গে জড়িত যে ছয়জন খেলোয়াড়ের নাম সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হয়েছিলো তাদের ব্যাপারে কি রায় হবে এখনো স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। তবে বিচারপতি লোদা ইঙ্গিত দিয়েছেন, খেলার চেয়ে বড় কেউই নয়। অর্থ, দল ও খেলোয়াড় কিছুই এখানে গুরুত্বপূর্ণ নয়।
নিষিদ্ধ দলের খেলোয়াড়রা অন্য দলে খেলতে পারবেন কিনা এবং আগামী মৌসুমে আইপিএলে নতুন কোনো দল নেওয়া হবে কিনা সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই।
২০১৩ সালে ফিক্সিংয়ের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য শান্তা কুমার শ্রীশান্ত সহ রাজস্থানের আরো তিন ক্রিকেটারকে গ্রেফতার করা হয়।
রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া বলেছেন, বিচার বিভাগীয় সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাচ্ছে বোর্ড। সব বিষয় খতিয়ে দেখে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেবে তরা।
লোদা কমিটির রায়ের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের কয়েকজন সাবেক ক্রিকেটারও। সুনীল গাভাস্কার বলেছেন, আইপিএলে ধোনি থাকবে না ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে। আর সঞ্জয় মঞ্জরেকর বলেছেন, ক্রিকেটপ্রেমীদের আস্থা অর্জনের জন্য যা অর্জন করা দরকার ছিলো তাই হয়েছে। খেলার ভাঙা-গড়া সবই ক্রিকেটপ্রেমীদের হাতে।
বিষেন সিং বেদী বলেছেন, স্বস্তির শ্বাস নিয়ে এলো লোদা কমিটি। আর রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার কথা জানিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংসের মালিক গোষ্ঠী ইন্ডিয়া সিমেন্ট। তবে রাজস্থান রয়্যালসের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।