কিছু সময় পর পরই পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের নামে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে। অনেকটা নিয়মিত হয়ে যাওয়া এই ঘটনার সঙ্গে জড়াল আরো দুই পাকিস্তানির নাম। ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগের তীর এবার দেশটির দুই তারকা উমর আকমল এবং মোহাম্মদ সামির দিকে।
ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির এক উচ্চ কর্মকর্তা গত সপ্তাহে তিন সদস্য বিশিষ্ট দুর্নীতি দমন শাখার কাছে সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্যে আকমল ও সামির ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার কথা বলেছেন, এমন খবরই চাউর হয়েছে।
উমর-সামিদের দিকে অভিযোগের তীরের ভিত্তি একদমই উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। পাকিস্তান বোর্ডের সভাপতি শাহরিয়ার খানের এক বক্তব্যে বরং সেটি আরো জোরালই হচ্ছে। দেশটির এক সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পিসিবি সভাপতি এই দুই ক্রিকেটারের দিকে ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে আঙুল তুলেছিলেন কদিন আগে।
পিসিবির আইনি পরামর্শদাতা সালমান নাসির অবশ্য বিষয়টি নিয়ে একদমই মুখ খুলতে নারাজ। সামি-উমরদের নিয়ে কোন তদন্ত শুরু হয়েছে কিনা সেটিও জানাননি তিনি। এমনকি ক্রাইম এজেন্সির সেই কর্মকর্তার কথা তাকে জিজ্ঞেস করলে ‘কোন মন্তব্য নয়’ বলে বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন।
এমন পরিস্থিতিতে সামি-আকমল উদ্বেগজনক অবস্থায় পড়েছেন বলে দুই ক্রিকেটারের নিকটজনরা জানাচ্ছেন। বিশেষ করে মোহাম্মদ সামির জন্য এই অভিযোগ বিশাল এক ধাক্কা। জাতীয় দলে ব্রাত্য হয়ে থাকা সামির জন্য বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) খেলা এখন প্রায় অনিশ্চিত। মঙ্গলবার করাচীর সংবাদসংস্থা পিটিআই সামির হতাশ হয়ে পড়ার খবর প্রকাশ করেছিল।
উমর আকমলও পড়েছেন নাজুক অবস্থায়। কয়দিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাজে ট্রলের শিকার হওয়া আকমলদের মেজ ভাইয়ের ক্রিকেটীয় ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চয়তার মুখে। বিপিএলেও দল মেলা নিয়ে আছে শঙ্কা।
কেলেঙ্কারির মুখে পড়া দুই ক্রিকেটার অবশ্য চাচ্ছেন পিসিবি তাদের কলঙ্কমুক্তির কোন ব্যবস্থা নিক। কিন্তু পিসিবি আছে শক্ত অবস্থানে। ম্যাচ ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত নাসির জামসেদ, শার্জিল খান, মোহাম্মদ ইরফানদের বিরুদ্ধে চার্জশিটও গঠন করা হয়েছে কিছুদিন পূর্বে। সেখানে সামি-আকমল সত্যিকার অর্ধেই কোন অপরাধ করে থাকলে ছাড় পাবেন না নিশ্চয়।