চতুর্থ দিন সকাল পর্যন্ত যে অবস্থা ছিল, তাতে অন্তত ম্যাচ হারার কথা নয় বাংলাদেশের। আর সেটা হলেই সিরিজ জেতার সুর্বণ সুযোগ। কিন্তু ৭২ রানের লিড সামনে রেখে ব্যাট করতে নেমে সেই বাংলাদেশ দাঁড়াতেই পারলো না। নাথান লায়নের ঘূর্ণিতে শেষ ১৫৭ রানে। জিততে হলে অস্ট্রেলিয়ার করতে হবে ৮৬।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সুযোগ হাতছাড়ার শুরুটা হয়েছিল সৌম্য সরকারকে দিয়ে। কামিন্সের বলে স্লিপে রেনশকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন দুই চারে ৯ রান করা এই বাঁহাতি। আউট সুইং করা বল খেলতে যেয়ে পা না নড়ানোর খেসারত দিতে হয়েছে বাজে একটি সিরিজ কাটানো সৌম্যকে।
দ্রুত তাকে অনুসরণ করেন তামিম ইকবালও। প্রথম ইনিংসে ৯ রানের পর বৃহস্পতিবারের অবদান ১২ রান। লায়নের বল বেড়িয়ে এসে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে স্টাম্পিং।
ইমরুল কায়েস (১৫) দুঃস্বপ্নের সিরিজে ব্যর্থ আরেকবার। বাজে শট খেলে ফিরেছেন লায়নের বলে। চারে প্রমোশন পাওয়া নাসির হোসেন ৫ রানে বিদায়। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো চার নম্বরে নেমে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। টিকতে পারেননি প্রথম টেস্টের ম্যাচ সেরা সাকিব আল হাসানও (২)।
তালগোল পাকানো ব্যাটিংয়ের পর প্রতিরোধ গড়েন মুশফিক-সাব্বির। ষষ্ঠ উইকেটে ৫৪ রানের জুটি তাদের। ঝুঁকি নিয়ে খেলা সাব্বির রহমান পরে উইকেট ছুঁড়ে এসেছেন বেরিয়ে এসে মারতে যেয়ে। চট্টগ্রাম টেস্টে দ্বিতীয়বারের মতো স্টাম্পড। লায়নের বলে এগিয়ে এসে বল ব্যাটে ছোঁয়াতে পারেননি। ওয়েড তখন ২৪ রান করা সাব্বিরকে সাজঘরের পথ ধরতে বাধ্য করান।
টেকেননি আরেক ভরসা মুশফিকও। পানি পানের বিরতির পর আঘাত হানেন কামিন্স। সেসময় ৩১ রান করা টাইগার অধিনায়কের ব্যাট ছুঁয়ে আসা ক্যাচ গ্লাভসে জমান ওয়েড।
মুমিনুল হক লিডটা এগিয়ে নিচ্ছিলেন। কিন্তু কামিন্সের বল বাতাসে ভাসিয়ে তিনিও সাজঘরে ফিরেছেন, ২৯ রানের অবদান রেখে।