একজন আইনজীবী একই বিষয়ে আলাদা দুটি কোর্ট থেকে আসামি জামিন করানোর ঘটনায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, ‘এ থেকে উত্তরণের একমাত্র পথই হচ্ছে সেন্ট্রাল ফাইলিং ব্যবস্থা কার্যকর করা।’
বৃহস্পতিবার সকালে ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনাদের একজন মেম্বার (আইনজীবী) একই বিষয়ে দুইটি কোর্ট থেকে জামিন করিয়েছেন। এর থেকে উত্তরণের একমাত্র পথই হচ্ছে সেন্ট্রাল ফাইলিং।’
সেসময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘মাই লর্ড সেন্ট্রাল ফাইলিং নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে আমরা চাই সেন্ট্রাল ফাইলিংয়ের ক্ষেত্রে যেন আইনজীবীরা চয়েস অফ কোর্ট-এর সুযোগটা পান।’
তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘দেখি আমারা (বিচারপতিরা) আগে বসে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘মাই লর্ড, কোনো আইনজীবী যদি একই বিষয়ে একাধিক আদালতে অনিয়ম করে কোনো ফাইল করে- সেক্ষেত্রে আপনারা ব্যবস্থা নিতে পারেন।’
গত ৭ অক্টোবর ল’রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত শোকসভায় প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘প্রয়াত অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আমাকে বলেছিলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টে একটা সেন্ট্রাল ফাইলিং সিস্টেম করেন। এটা যদি করেন তাহলে কোর্টের ৫০ শতাংশ অনিয়ম দূর হয়ে যাবে।’’ আমি বারের (সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি) নেতৃবৃন্দকে বলেছি আপনারা যদি সেন্ট্রাল ফাইলিংয়ে আসেন; তাহলে বারের যে অনিয়ম আছে তার ৫০ শতাংশ চলে যাবে।’
ওইদিন প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, ‘আমি আশা করবো বার (সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি) মাহবুবে আলমের ইচ্ছাটা বাস্তবায়ন করবে। আর আমিও ব্যক্তিগতভাবে চাই সেন্ট্রাল ফাইলিং কার্যকর হোক। এটা যদি হয় তাহলে সুপ্রিম কোর্টের অনিয়ম ৫০ শতাংশ থাকবে না।’