একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারলে দেশবাসী ‘ফাইভ জি’ ইন্টারনেট সুবিধা পাবে উল্লেখ করে ইশতেহার ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসেফিক সোনারগাঁওয়ে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক ইশতেহার প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
ইশতেহারে বলা হয়েছে: ২০২১-২৩ সালের মধ্যে ফাইভ-জি চালু করা হবে। আমাদের সামনের দিনের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ডিজিটাল যুগে বিশ্ব পরিমণ্ডলে সামনের কাতারে থাকা। আমাদের স্বপ্ন হচ্ছে মুজিব বর্ষ-২০২০, ডিজিটাল বাংলাদেশ বর্ষ-২০২১, এসডিজি বর্ষ-২০৩০ ও উন্নত বাংলাদেশ বর্ষ-২০৪১ সালের রূপকল্প বাস্তবায়ন করা। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ডিজিটাল ক্ষেত্রে বর্তমানে যে বিপ্লব চলছে, তা ক্রমে যুগোপযোগী করে অগ্রসর করার ভেতর দিয়েই গড়ে উঠবে তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ।
ইশতেহারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ডিজিটাল খাতে গত ১০ বছরের অর্জন তুলে ধরে বলা হয়: ২০২১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার বাস্তবতা ইতোমধ্যে সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান করা সম্ভব হয়েছে। থ্রি-জি মোবাইল প্রযুক্তির পর দেশে ফোর-জি মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার চালু করা হয়েছে।
মোবাইল প্রযুক্তিকে আরও সুরক্ষিত করতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধিত হচ্ছে। ৫ হাজার ৭৩৭টি ডিজিটাল সেন্টার এবং ৮ হাজার ২০০টি ই-পোস্ট অফিসের মাধ্যমে জনগণকে ২০০ ধরনের ডিজিটালসেবা প্রদান করা হচ্ছে। ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত অপটিক্যাল ফাইবার সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
আগামীর লক্ষ্য তুলে ধরে ইশতেহারে বলা হয়েছে: ২০২১-২৩ সালের মধ্যে ফাইভ-জি চালু করা হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, বিগ ডাটা, ব্লক চেইন, আইওটি-সহ ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির বিকাশ ঘটানো হবে।
এছাড়া ই-পাসপোর্ট এবং ই-ভিসা চালু করা হবে। শিক্ষাকে পর্যায়ক্রমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তরের সর্বাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আর্থিক খাতের লেনদেনকে ডিজিটাল করা হবে। তথ্যপ্রযুক্তির সফটওয়্যার, সেবা ও ডিজিটাল যন্ত্রের রপ্তানি ৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে।বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ এবং সাবমেরিন ক্যাবল-৩ স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে। সামরিক বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ডিজিটাল সক্ষমতা বাড়ানো হবে। ইন্টারনেট ও মোবাইল ব্যবহারের মূল্য যুক্তিসংগত পর্যায়ে নামিয়ে আনার মতো বিষয় গুলো উল্লেখ করা হয়েছে।