ইংল্যান্ড যদি বিশ্বকাপ ফাইনাল হেরে যেত, তাহলে হয়তো আর কখনোই ক্রিকেটটা খেলতে পারতেন না তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে যখন প্রবল চাপে ছিল ইংলিশ দল, তখন এই ভাবনাতেই আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন জস বাটলার।
উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান বলছেন, ‘বিশ্বকাপ ফাইনালটার আগে আমি সাতটা ফাইনাল খেলেছিলাম। সাতটাই হেরেছিলাম। আমি খুব ভালো করে জানি, বিপক্ষ দল যখন চ্যাম্পিয়ন হয়, কতটা খারাপ লাগে। ওই যন্ত্রণাটা আবার ফিরে পেতে চাইনি।’
দল যখন বেশ বিপাকে, একটা ভয় ক্রমশ চেপে ধরছিল বাটলারকে। তিনি বলেছেন, ‘বিষয়টা আমার কাছে অত্যন্ত আতঙ্কের হয়ে উঠছিল, যদি ম্যাচটা হারি, আর কখনো ক্রিকেটটা খেলতে পারব কিনা! লর্ডসে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার সুযোগগুলো রোজ আসে না। একটাই ভাবনা ওই সময় কাজ করছিল, যদি জিততে না পারি, ক্রিকেট ব্যাট হাতে আবার মাঠে নামার মোটিভেশনটাই হারিয়ে ফেলব। হয়তো দীর্ঘদিন খেলতেই পারব না।’
বিশ্বকাপের আগে থেকেই ইংল্যান্ডকে ফেভারিট ধরা হচ্ছিল। কিন্তু শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরপর হেরে কাপ যুদ্ধ থেকে প্রায় হারিয়েই যেতে বসেছিল ইয়ন মরগানের দল।
বাটলার বলছেন, ‘ভারত ম্যাচের আগে আমরা অত্যন্ত চাপে ছিলাম। বারবার মনে হচ্ছিল, এই ম্যাচটা যদি কোনোভাবে হেরে বসি, তাহলে বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে যাব। এত লোক যে আমাদের ফেভারিট ধরছে, সমর্থকরা মাঠে আসছে, তাদেরকে নিরাশ করা হবে। সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম আমরা।’
সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ডের জেতার জন্য শেষ বলে দরকার ছিল ২ রান। ক্রিজে ছিলেন মার্টিন গাপটিল। বাটলার বলছেন, ‘গাপটিল মারাত্মক চাপে ছিল। তার নেয়া শটটা সরাসরি জেসন রয়ের কাছে পৌঁছায়। আমি নিশ্চিত ছিলাম, বলটা আমার কাছেই আসতে যাচ্ছে। রয় যখন থ্রো করে, তখন ভাবছিলাম যে, বলটা ধরে উইকেটে লাগাতে পারলেই আমরা চ্যাম্পিয়ন।’
বিশ্বকাপ জেতার ওই মুহূর্তগুলো চিরকালই মনে থেকে যাবে উইকেটকিপার বাটলারের। ‘উফ, মারাত্মক টেনশনের পরিস্থিতি। কিন্তু তারপর? আমরা উড়তে শুরু করেছিলাম।’