বল একটু পুরনো হলেই সাধারণত ডাক পড়ে তার। দ্রুতগতির পেসার হয়েও নতুন বল হাতে পান কম সময়ই। ‘দুর্ভাগ্য’ অবশ্য হাসিমুখেই মেনে নেন রুবেল হোসেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষা’র বলেই কিনা দ্বিতীয় ওভারেই আক্রমণে আসার সুযোগ পেলেন এ পেসার। বাংলাদেশের প্রথম সাফল্য এলো তার হাত ধরেই।
আয়ারল্যান্ড-৮২/২ (১৬)
সাইড স্ট্রেইনের চোট রুবেলকে খেলতে দেয়নি ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে। বাংলাদেশের ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচে একাদশে চার পরিবর্তন, মাঠে নেমেও নানা পরীক্ষা, যার মাঝে একটি রুবেলের হাতে নতুন বল তুলে দেয়া। শুরুতে আবু জায়েদের সঙ্গে জুটি বাধার সুযোগ পেলেন বাগেরহাটের পেসার। তৃতীয় বোলার হিসেবে সাইফউদ্দিনকে এনেছেন অধিনায়ক। আর সাকিবের আগে মোসাদ্দেকের হাতে বল দিয়েছেন মাশরাফী।
প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে রুবেল প্রথম ওভারে দিয়ে বসলেন ৯ রান। দ্বিতীয় ওভারেও মিলেছিল খরুচে থাকার আভাস। রুবেলের তৃতীয় ডেলিভারিতে মিড-উইকেট দিয়ে বিশাল এক ছক্কা হাঁকান পল স্ট্রার্লিং। মাঠের জায়ান্ট স্ক্রিনের উপর দিয়ে উড়ে গাছগাছালির মাঝে হারিয়ে যায় বল।
রিজার্ভ আম্পায়ার নতুন বল নিয়ে দ্রুত মাঠে আসলেন। বিশাল ছক্কার সে দৃশ্যই হয়ত তাঁতিয়ে দিয়েছিল রুবেলকে। এক বল পরেই পেয়ে যান সাফল্য। আইরিশদের ইনিংসে প্রথম আঘাত হানেন। তবে স্ট্রার্লিং নয়, ছক্কা মেরেই লংঅনে ঠেলে এক রান নিয়ে প্রান্ত বদলে ফেলেছিলেন এ ওপেনার।
রুবেলের কোপটা তাই পড়ে ম্যাককলামের উপর। অফস্টাম্পের বাইরের দারুণ এক ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁইয়ে স্লিপে ক্যাচ দিতে বাধ্য হন এ বাঁহাতি। প্রথম স্লিপে লিটন ক্যাচটি লুফে নেন সহজেই।
অন্যপ্রান্তে আবু জায়েদ করে যাচ্ছেন টানা বোলিং। পেয়ে গেছেন একটি সাফল্যও। ফিরিয়েছেন বেলব্রিনেকে। নতুন বলে বোলিংয়ে অভ্যস্থ অধিনায়ক মাশরাফী অন্যদের সুযোগ দিয়ে হয়ত পুরনো বলই তুলে নেবেন হাতে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার ম্যাচ বলে কথা!