চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ফাইনালে যেতে চাই ১৬০

বাঁচা-মরার ম্যাচ। জিতলেই ফাইনাল, উল্টো হলে টুর্নামেন্ট শেষ। এমন ম্যাচে ‘সম্পূর্ণ ফিট’ নিয়মিত অধিনায়ক সাকিবকে পেয়ে উজ্জীবীত বোলিং করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে হাতে বল তুলে নেয়া সাকিবই প্রথম সাফল্য এনে দেন। উইকেট শিকারে তার সঙ্গে মোস্তাফিজ যোগ দিলে উড়ন্ত শুরু পায় বাংলাদেশ। মাঝে কুশল পেরেররার প্রতিরোধের পর ফাইনালের টিকিট কাটতে ১৬০ রানের লক্ষ্য পেয়েছে টাইগাররা।

শুক্রবার কলম্বোর প্রেমাদাসায় সেমিফাইনালে রূপ নেয়া ম্যাচে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান সাকিব। নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান তুলেছে লঙ্কানরা।

শুরুতে উইকেট তুলে নেয়ার সঙ্গে রানের চাকা আটকানোর চেষ্টায় সফল হন টাইগার বোলাররা। ইনিংসের প্রথম ওভারে ৩ রান দেয়া সাকিব তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই সাফল্য আনেন। সাকিবকে উড়িয়ে মারতে গিয়েছিলেন গুনাথিলাকা। অনেকটা দৌড়ে লং অনে বল তালুতে জমান সাব্বির। ৪ রানে সাজঘরে লঙ্কান বাঁহাতি ওপেনার।

চতুর্থ ওভারের শেষ বলে কুশল মেন্ডিসকে ফেরান মোস্তাফিজ। আগের চারটি বলে ভুগেছেন, সেই চাপ থেকে বেরিয়ে আসতে শট খেলেন মেন্ডিস। ব্যাটে-বলে হয়নি। মিডউইকেটে সৌম্যর হাতে ক্যাচ। ১৪ বলে ১১ রানের ইনিংস থামে। মোস্তাফিজের ঝুলিতে মেডেন উইকেট ওভার।

মোস্তাফিজের পরের ওভারেই আরেকটি উইকেট হারায় লঙ্কানরা। থারাঙ্গাকে রানআউটে সাজঘরে পাঠায় মিরাজ-ফিজ যুগলবন্দী প্রচেষ্টা।

এক বল পরেই আবারও আঘাত হানেন ফিজ। এবার শিকার দাসুন শানাকা। গোল্ডেন ডাক হয়ে উইকেটের পেছনে মুশফিকের গ্লাভসবন্দী তিনি। কাটার মাস্টারের ভয়ঙ্কর অস্ত্রেই কুপোকাত। অফস্টাম্পে ফেলা অফকাটারটি বুঝতেই পারেননি শানাকা।

চাপে থাকা লঙ্কানদের পরের ধাক্কাটি দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অলারাউন্ডার জীবন মেন্ডিসকে সাজঘরে পাঠিয়ে। অফস্পিনের বিপরীতে সুইপ করার চেষ্টায় শর্ট ফাইনলেগে মোস্তাফিজের ক্যাচ হন ৩ রান করা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

পরে প্রতিরোধ আসে দুই পেরেরা, কুশল ও থিসারার থেকে। দুজনে জুটি গড়ার পাশাপাশি দ্রুত ঘোরাতে থাকেন রানের চাকাও। এ জুটিতে আসে ৯৭ রান, মাত্র ৬১ বলে। জুটি ভাঙেন সৌম্য। কুশলকে ফিরিয়ে। যাওয়ার আগে কাজের কাজটা করে গেছেন ৬১ রানের ইনিংস খেলে। ৩২ বলে ফিফটি ছুঁয়েছিলেন, থামেন ৭ চার ও এক ছক্কায় ৪০ বলে সাজিয়ে।

থিসারার ঝড় তোলা ইনিংসটি থামে শেষ ওভারে। রুবেলের বলে তামিমের তালুতে জমা পড়ার আগে ৫৮ রানের ঝড় তুলে যান লঙ্কান অলরাউন্ডার। ৩টি করে চার ছক্কায় ৩৭ বলে ইনিংসে।

সাকিব ইনিংসে দারুণ শুরু এনে দেয়ার পর আর বোলিংয়েই আসেননি, ২ ওভারে ৯ রানে এক উইকেট। স্পিনারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল মিরাজ। ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রানে এক উইকেট নিয়েছেন। মাহমুদউল্লাহ ৪ ওভার বল করেছেন, কোন উইকেট পাননি। আর স্পিনার হিসেবে খেলা নাজমুল অপু বোলিংয়ের ডাকই পাননি।

সৌম্য ২ ওভারের জন্য ডাক পেয়ে এক উইকেট নেন ২১ রানে। প্রথম ওভার মেডেন নেয়া মোস্তাফিজ পরে তাল ধরে রাখতে পারেননি, ৪ ওভারে ৩৯ রান খরচায় ২ উইকেট তার। রুবেল এক উইকেট নিতে খরচ করেছেন ৪১ রান।