চট্টগ্রাম থেকে: মঙ্গলবার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কলকাতার জায়ান্ট মোহনবাগানকে ৪-২ গোলে হারিয়ে শিরোপার মঞ্চের টিকিট কেটেছে লি টাকের তেরেঙ্গানু এফসি।
আগেরদিন প্রথম সেমিতে জেতা চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ মারুফুল হক চেয়েছিলেন ফাইনালে যেন মোহনবাগানই হয় তার দলের প্রতিপক্ষ। তার সেই আশা পূর্ণ হয়নি! শেখ কামাল কাপের তৃতীয় আসরের ফাইনালে মালয়েশিয়ার ক্লাব তেরেঙ্গানু এফসি পরীক্ষা নেবে স্বাগতিক ক্লাবটির।
এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে এদিন হ্যাটট্রিক করেন তেরেঙ্গানু অধিনায়ক লি টাক। ব্রিটিশ মিডফিল্ডারের এটি টানা দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে বসুন্ধরার বিপক্ষেও হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি।
ছয় গোলের ম্যাচে ৩৯ মিনিটে লি টাকের লক্ষ্যভেদে তেরেঙ্গানুর লিড আসে। ২৫ গজ দূর থেকে এ মিডফিল্ডার যেভাবে ফ্রি-কিকে গোল আদায় করলেন, তাতে মনে হল এমএ আজিজে যেন স্বয়ং লিওনেল মেসি গোল করলেন মালয়েশিয়ান ক্লাবটির হয়ে!
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতায় পেরে মোহনবাগান। ৪৬ মিনিটে মিডফিল্ডার বৃত্ত প্রকাশ ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পটকিকে গোল করেন ফ্রান্সিস্কো হাভিয়ের।
ম্যাচে ১৩ মিনিট পরেই আবারও লি টাকের ভেল্কি। আবারও সেই ফ্রি-কিক থেকে করলেন গোল, সেটাও এবার ৩০ গজ দূর থেকে! মেসিকে মনে করিয়ে ডান পায়ে এমনই এক কিক নিলেন ব্রিটিশ মিডফিল্ডার, যাতে কিছুই করার ছিল না মোহনবাগান গোলরক্ষক দেবজিতের।
তবে দ্বিতীয়বারের মতো এগিয়ে থেকেও স্বস্তি মেলেনি তেরেঙ্গানুর। কারণ দুই মিনিট বাদেই আবারও সমতায় মোহনবাগান। সতীর্থের ফ্রি-কিক থেকে ৬১ মিনিটে দারুণ এক হেডে গোল প্রথম গোলের নায়ক ফ্রান্সিস্কো হাভিয়ের।
ম্যাচের ৭৪ মিনিটে আবারও কপাল পোড়ে মোহনবাগানের। এবার সর্বনাশের নায়ক সফিক বিন ইসমাঈল। ছোটখাটো দেহের ফরোয়ার্ড বল পায়ে বাঁ-প্রান্ত দিয়ে এমন গতিতে ছুটেছেন যে, তাকে আটকানোর সাধ্য হয়নি মোহনবাগানের দুই খেলোয়াড়ের। ডি-বক্সের বাঁ-প্রান্ত দিয়ে শফিকের কোণাকুণি শট দেবজিতকে বোকা বানিয়ে তৃতীয়বারের মতো ঠাই নেয় জালে।
পরে ৭৯ মিনিটে টুর্নামেন্টে নিজের টানা দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন লি টাক। বল পায়ে আগুয়ান জাপানী ব্রুনো সুজুকিকে ফেলে দিয়ে পেনাল্টি উপহার দেন মোহনবাগান গোলরক্ষক। ঠাণ্ডা মাথার লি টাক বারের ডানপ্রান্তে জড়ান বল। দুই হ্যাটট্রিকে মোট ৬ গোল করে এখন পর্যন্ত তিনিই সর্বোচ্চ গোলস্কোরার টুর্নামেন্টের।