সেমিফাইনালের মতো স্নায়ুক্ষয়ী ম্যাচের চাপে কাবু হয়নি বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং- তিন ক্ষেত্রেই দাপট দেখিয়ে একপেশে জয়। একই টোটকা ভারতের বিপক্ষেও কাজে লাগাতে চান টাইগারদের যুব অধিনায়ক আকবর আলী। বাংলাদেশের প্রথম বিশ্বকাপ ফাইনাল, এমন ভাবনা মাথায় এনে কাবু হতে দিতে চান না দলকে।
২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে পা রেখে টাইগার ক্রিকেটের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় লিখেছে বাংলাদেশ যুব দল। পচেফস্ট্রুমে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে লাল-সবুজের প্রথম দল হিসেবে কোনো বিশ্বমঞ্চের ফাইনালে গেছেন আকবররা।
৯ ফেব্রুয়ারি এই পচেফস্ট্রুমেই ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে লড়বে বাংলাদেশ। এক নারীদের এশিয়া কাপ ছাড়া আর কোনো ফাইনালেই ভারতের বিপক্ষে জয়ের ইতিহাস নেই টাইগারদের জাতীয়-যুব পর্যায়ের ক্রিকেটে। রোববারের ম্যাচটা জিততে পারলেই ইতিহাস।
ইতিহাস কিংবা ফাইনাল জয়, এসব বিষয় মাথায় আনতে চান না আকবর। সেমিতে যেভাবে খেলেছেন, সেভাবেই বাকি আর দশটা ম্যাচের মতোই ফাইনালকে দেখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘আমরা ওই ম্যাচটাকে সাধারণ ম্যাচের মতোই খেলবো। এটা আমাদের প্রথম ফাইনাল এমন চিন্তা মোটেও করছি না।’
‘ভারত খুবই কঠিন প্রতিপক্ষ, আমাদের নিজের সেরা খেলাটাই খেলতে হবে। তিন ডিপার্টমেন্টেই নিজেদের সেরাটা দিতে হবে।’
ফাইনালের পথে ম্যাচ জয়ী সেঞ্চুরি করেছেন টপঅর্ডারের মাহমুদুল হাসান জয়। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন যুব ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ান তৌহিদ হৃদয়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে দুজনের ৬৮ রান বাংলাদেশের জয়ের পথ করেছে উন্মুক্ত।
পুরস্কার বিতরণীর মঞ্চে দুজনের অকুণ্ঠ প্রশংসা করেছেন আকবর, ‘যেভাবে জয় ও হৃদয় ব্যাট করেছে, তা ছিল অসাধারণ। তারা অনেক পরিশ্রম করে খেলেছে, এটা দারুণ প্রশংসনীয়।’
‘আমাদের বোলাররা দারুণ বল করেছে, তিন স্পিনারও ছিল দারুণ। পরে আমাদের ব্যাটসম্যানদের বড় জুটি গড়া দরকার ছিল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আমাদের যে পরিকল্পনা ছিল সেটা শেষ পর্যন্ত কাজে লেগেছে।’