মানবতাবিরোধী অপরাধী মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ আজ রাতেই কার্যকর
হতে পারে। উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্র এ খবর নিশ্চিত করেছে।
ফাঁসি কার্যকর
করতে দুপুরেই কাশিমপুর কারাগার থেকে দুই জল্লাদকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে
আনা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, সবকিছু প্রস্তুত
আছে। নিজামী প্রাণভিক্ষার আবেদন না করলে যেকোন সময় ফাঁসি কার্যকর হতে পারে।
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকরে যেসব প্রস্তুতি প্রয়োজন, সেসব চলছে।
রিভিউ (রায় পুনর্বিবেচনা) খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় সোমবার রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেমড সেলে থাকা নিজামীকে পড়ে শোনানো হয়। পরে চিকিৎসকেরা তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।
নিজামীকে গত রোববার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।
তার রিভিউ আবেদন খারিজ করে আপিল বিভাগ সোমবার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করার পর থেকেই ফাঁসি কার্যকরের প্রাক প্রস্তুতি শুরু হয়।
আপিল বিভাগের রায়ের কপি প্রথমে আসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। নিজামীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সেরে ওই আদেশ কেন্দ্রীয় কারাগারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া চারজনের দণ্ড ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কার্যকর হয়েছে। তারা হলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লা এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে থেকে চ্যানেল আই’র বিশেষ প্রতিবেদক মোরছালীন বাবলা জানান, আগের মৃত্যুদণ্ডগুলো কার্যকর হওয়ার সময় তিনি কারাগারের সামনে যেরকম পরিবেশ এবং প্রস্তুতি দেখেছেন এখনকার পরিবেশ এবং প্রস্তুতিও অনেকটা সেরকম।
‘কারা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যেকোন সময় ফাঁসি কার্যকরে তারা প্রস্তুত,’ জানিয়ে বাবলা বলেন, ফাঁসি কার্যকরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি নির্দেশনার অপেক্ষায় আছে কারা কর্তৃপক্ষ।