চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ফসলের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে তথ্য প্রযুক্তি

রিজভী নেওয়াজ: ফসলের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে সরকার। আগামী বাজেটে এমন একটি প্রকল্প থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

পঞ্চগড়ে ‘কৃষি বাজেট কৃষকের বাজেট’ আলোচনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রেই শপ খুলবে সরকার। ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে নতুন প্রকল্প ‘ই-শপ’ এর কথা জানান তিনি। এতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ইউনিয়ন ও জেলা পর্যায়ে ডিজিটাল সেন্টারগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে কৃষকরা সরাসরি তাদের পণ্য বাজারজাত করতে পারবেন।

স্থানীয় ‘চা’ চাষীদের দাবির মুখে চা আমদানির ওপর আরো শুল্ক বসানোর প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। স্থানীয় তো বটেই, কৃষকের যেসব চাওয়া জাতীয় পর্যায়েও একই রকম, বাজেটে তার প্রতিফলন থাকবে বলে কথা দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী।

চ্যানেল আইয়ের কৃষি বিষয়ক গণমাধ্যম উদ্যোগ ‘কৃষি বাজেট কৃষকের বাজেট ’ আলোচনার আয়োজক ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ। বাজেট কি, কেনো হয়, কিভাবে হয়, কৃষক ন্যায্য হিস্যা পাচ্ছেন কি না; কৃষকদের  এসব জানানো ও বোঝানোর এই আয়োজন।

নীতি নির্ধারকদের কাছে দায়বদ্ধ নীতি প্রত্যাশায় গণমানুষের অনুষ্ঠানটির উদ্যোক্তা কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ। রাষ্ট্র এবং সরকারের কাছে বাজেটের আগে তৃণমূল পর্যায় মানুষের এ ধরনের সমস্যা ও চাওয়ার কথা গুলো তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তার কথা জানান তিনি।

২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটকে সামনে ‘কৃষি বাজেট কৃষকের বাজেট’ আলোচনায় যোগ দিতে পঞ্চগড় সদরের দ্বারিকামারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হন কয়েক হাজার কৃষক।

দেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে অন্য জেলার তুলনায় ফল-ফসলের আবাদ একটু ভিন্নতর। প্রচলিত ফসলের পাশাপাশি কয়েক বছরে এখন চাষাবাসের কাতারে যোগ হয়েছে গম, চা, কমলা এবং অন্য আরো ফল। তবে বঞ্চনার গল্প একই রকমের।

বাজেট আলোচনায় উপস্থিত কৃষকরা বলেন, সরকার যদি উৎপাদিত ফসল মজুদ করে রাখার মতো ব্যবস্থা করেন তাহলে তারা উপকার পাবেন। বিদ্যুৎ না পাওয়ার পাশাপাশি ন্যায্যমূল্য না পেয়ে বাড়তি খরচের বোঝা টান‍ার কথাও বেলেন কৃষকরা।

কৃষকদের মধ্যে কেউ কেউ বলেন, বরেন্দ্র প্রকল্পের কথা বলে তারা তিন বছর আগে স্কিমের টাকা জমা দিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাজতো দূরের কথা, কোনো নমুনাও দেখেননি তারা।

তারা আরো বলেন, পঞ্চগড়ে কোন বীজপত্তন এজেন্সি নেই। আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া যায় এমন ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেন তারা।

পল্লী বিদ্যুৎ’ প্রসঙ্গে বের হয়ে আসে আরো নির্মম সত্য। কৃষকরা বলেন, পল্লীবিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে বলে ২০০৬ সালে তাদের কাছ থেকে তিন হাজার ১২৫ টাকা করে পাঁচটি পাম্পের টাকা জমা নেয়া হয়েছে। অথচ এই বছর বিদ্যুৎ আসছে মাত্র ১৫ দিন ধরে। তারা জানান, কৃষকরা এখনও পানি দিতে পারছেন না। মাছ চাষ, গবাদি পশু পালন, কিংবা বাণিজ্যিকভাবে মুরগি পালন সবখানেই মূল বাধা পশু খাবারের উচ্চ মূল্য। প্রাণি সম্পদ চিকিৎসকও মেলে না সহজে।

 পঞ্চগড়ের ‘কৃষি বাজেট কৃষকের বাজেট’ চ্যানেল আইয়ে প্রচার হবে রাত ৯টার সংবাদের পর। কৃষি বাজেট, কৃষকের বাজেট আলোচনার পরের আয়োজনটি খুলনায়। উপস্থিত থাকবেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ।