যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা যতো দেরি হচ্ছে, উত্তেজনাও ততোটাই বাড়ছে। এখন চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর সহিংসতার আশঙ্কায় এখন ত্রস্ত দেশটির বড় বড় শহরের নাগরিকরা।
বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিজের বিজয় নিয়ে ‘মিথ্যাচারে’র পর সে শঙ্কা আরও বেড়েছে। আসন্ন পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়ে এরই মধ্যে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে পুলিশ এবং ব্যবসায়ীরা।
বুধবার সন্ধ্যায়ও বিক্ষোভকারীরা ওয়াশিংটন, ডেনভার, পোর্টল্যান্ড এবং লস অ্যাঞ্জেলেস সহ বড় বড় শহরগুলোতে জড়ো হয়ে বিক্ষোভের চেষ্টা করে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এরমধ্যে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া অনেককে গ্রেফতার করা হয়।
সহিংসতার আশঙ্কায় নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে থেকে প্রায় এক ডজনেরও বেশি স্টেটে ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
ভোটগ্রহণ শুরুর এক সপ্তাহ আগ থেকেই ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জানালাগুলো বাইরে থেকে কাঠের শক্ত আবরণে ঢেকে ফেলেছে। নাগরিকরা তাদের শরীরে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরছে এবং সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র বহন করছে।
এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের বিজয় দাবি আরও বেশি বিভেদ সৃষ্টি হয় সহিংসতায় রসদ যোগাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শেষ খবর পর্যন্ত ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ৪৩টির ফলাফলে বাইডেন জিতেছেন ২৪৩টি ইলেকটোরাল ভোট আর ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৪টি।
জিততে হলে একজন প্রার্থীকে মোট ইলেকটোরাল ভোট ৫৩৮টির মধ্যে ২৭০টি ভোট পেতে হবে।