টন্টন থেকে: শুরুর কয়েকটা ওভার টিকে গেলে অধিকাংশ সময়ই ইনিংস বড় করেন। অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রম করে যাওয়ার পরও বিশ্বকাপে তেমনটা হচ্ছে না। তিন ম্যাচেই আউট হয়েছেন থিতু হয়ে, কঠিন সময় পার করে। এই কারণেই বেশি হতাশ তামিম ইকবাল। এ ওপেনার মনে করেন তিন ম্যাচের দুটিতে নিজের উইকেট বিলিয়ে এসেছেন এ ওপেনার।
ওভালে প্রথম ম্যাচে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৬ রান করা তামিম আউট হয়েছেন ইনিংসের নবম ওভারে। একই মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাজঘরে ফেরেন ২৪ রান করে চতুর্দশ ওভারে। কার্ডিফে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯ রান করে আউট দ্বাদশ ওভারে। কেমন যেন একটা ঘূর্ণিপাকে পড়ে গেছেন বাংলাদেশের সেরা এ ব্যাটসম্যান।
প্রতিটি ম্যাচেই নতুন বলে শুরুর চ্যালেঞ্জ জেতা তামিম আউট হয়েছেন যখন চড়াও হবেন বোলারের ওপর। থিতু হয়ে বারবার আউট হওয়ার আক্ষেপটাও তাই বেশি তামিমের।
‘স্বাভাবিকভাবে আমার যে ধরণের ব্যাটিং গ্রাফ তাতে আমি তাড়াতাড়ি আউট হই, তাড়াতাড়ি আউট না হলে ইনিংস বড় হয়। এটাই হতাশার তিনটা ম্যাচেই আমি হার্ডওয়ার্ক করে নিয়েছিলাম শুরুতে। ৫-৬-৭ ওভারের যে একটা চ্যালেঞ্জ থাকে সেটি কাটিয়ে আসার পর আমার পক্ষে জিনিসটা আসার কথা ছিল। কিন্তু তখনই আমি বলতে পারেন আউট হয়েছি। তিনটি ম্যাচের মধ্যে দুটিতে আমি নিজেই উইকেট গিফট করে এসেছি। এদিক থেকে হতাশার। সাধারণত এরকম হয় না। আশা করি পরের ম্যাচেই এটি কাটিয়ে উঠতে পারব।’
সোমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচের ভেন্যু সমারসেট কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব মাঠের উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হয়ে থাকে। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে এখানেই ভারতের সৌরভ গাঙ্গুলি খেলেছিলেন ক্যারিয়াসেরা ১৮৩ রানের ইনিংস। ২০ বছরের বিরতি কাটিয়ে এবারের বিশ্বকাপ দিয়ে আবার ওয়ানডে ক্রিকেট ফিরেছে এখানে। সবশেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার। ভেন্যুর তৃতীয় সেঞ্চুরিটি কি ছন্দে ফিরতে মরিয়া তামিমই করবেন? প্রশ্ন শুনে মুচকি হাসার পর টাইগার ওপেনার বলেছেন, হলেও হতে পারে।
‘মাস্ট উইন গেমে’ যদি সেঞ্চুরি করতে পারেন তামিম সেটি হবে বাংলাদেশ দলের জন্য বড় উপহার আর সমালোচনার জবাব!