শাহাদাত হোসেন তিতু: ফরিদপুরের সালথায় লকডাউন চলাকালে ফুকরা বাজারে এসিল্যান্ডের এক সহকারীর লাঠিপেটা করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে সালথা থানা ও উপজেলা পরিষদের সরকারী প্রায় সব অফিস ও বাসায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
সেসময় পুলিশ ‘আত্মরক্ষার্থে’ গুলি চালালে রামকান্তপুর এলাকার জুবায়ের নামে এক যুবক নিহত হয়। গুলিবিদ্ধ হয় আরো তিন থেকে চারজন।
আহতদেরকে ঢাকা ও ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন আমির, মিরান ও মামুন। সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটে।
হামলাকারীরা ইউএনও ও এসিল্যান্ডের গাড়িসহ কয়েকটি মটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। একই সাথে হামলাকারীরা উপজেলার ভিতর থেকে বস্তায় করে বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লকডাউনের নির্দেশ অমান্য করায় সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের মোসলেম মোল্লার ছেলে মো. জাকির হোসেন মোল্লাকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হিরামনি তিরস্কার করেন। কথা না শোনায় তার সাথে থাকা এক সহকারী লাঠিপেটা করে জাকির হোসেনকে। তাতে উপস্থিত জনতা উত্তেজিত হয়ে উঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে সেখানে পুলিশ উপস্থিত হয়।
উত্তেজিত জনতা পুলিশের উপরেও হামলা চালায়। এতে এসআই মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে যায়। পরে কয়েক হাজার বিক্ষুব্ধ লোকজন থানা ও উপজেলায় হামলা করে। হামলায় ইউএনও এর বাসভবন, হলরুম সহ থানায় হামলা ও আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ আলিমুজ্জামান বলেন, লকডাউনের প্রথম দিনে সরকারি নির্দেশনা পালন করতে গিয়ে জনতার সঙ্গে কর্মকর্তাদের ভুল বোঝাবুঝি হয়। তর্কে-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে স্থানীয়রা এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা পরিষদ, থানা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবনসহ বিভিন্ন অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় পাশের থানা ও জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব গিয়ে পর্যাপ্ত ফাকাঁ গুলি, কাঁদুনে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সেসময় পুলিশ ও র্যাবের আট সদস্য আহত হয় বলেও জানান তিনি।