ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় ঢাকার মহানগর হাকিম আহসান হাবীবের আদালতে অপহরণের বিষয়ে জবানবন্দী দিচ্ছেন বিশিষ্ট কলামিস্ট, কবি ও লেখক ফরহাদ মজহার।
মঙ্গলবার দুপুর সোয়া তিনটার দিকে তার জবানবন্দী শুরু হয়ে এখনো চলছে।
ফরহাদ মজহারকে মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আদাবর থানা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে দুপুরে তাকে নেওয়া হয় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে।
ফরহাদ মজহারকে গতরাতে যশোরের নোয়াপাড়া থেকে হানিফ পরিবহনের বাস থেকে উদ্ধারের পরে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর আদাবর থানায়। সেখানে তার সঙ্গে দেখা করেন তার পরিবারের সদস্যরা।
সোমবার ভোর ৫টা ২০ মিনিটে রাজধানীর শ্যামলী রিং রোডের ‘হক ভবন’ থেকে স্বাভাবিক পোশাকে, স্বাভাবিকভাবে হেঁটে বের হয়েছিলেন ফরহাদ মজহার। কিছুক্ষণ পরে তার স্ত্রী ফরিদা আখতারের মোবাইল ফোনে ফরহাদ মজহার নিজেই জানিয়েছিলেন, কেউ তাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।
সেসময় তাকে মেরে ফেলা হতে পারে বলেও আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। ফরহাদ মজহার নিয়মিত যে নম্বর ব্যবহার করেন তার বদলে মাঝেমধ্যে ব্যবহার করেন এমন নম্বর থেকে তার স্ত্রীর ফোনে ফোন আসে।
প্রয়োজন হতে পারে জানিয়ে ফোনে ফরহাদ মজহার নিজেই ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা প্রস্তুত রাখতে বলেছিলেন।
এরপর নিখোঁজ লেখক-কলামিস্ট ফরহাদ মজহারের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তার মোবাইল ট্রাকিংয়ের ম্যাধমে মোবাইলের লোকেশন সনাক্ত করে খুলনার কেডিএ অ্যাপ্রোচ রোড এলাকায় অভিযান চালিয়েছিল র্যাব।
সোমবার সন্ধ্যা ছয়টায় নগরীর সোনাডাঙ্গা অ্যাপ্রোচ রোড ও ইব্রাহিম মিয়া সড়কে এ অভিযান শুরু হয়েছিল। রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত ইব্রাহীম মিয়া সড়কের ১০/১২টি বাড়িতে র্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়েছিল।