ভারতের উড়িষ্যায় সম্ভাব্য সময়ের আগেই আঘাত হানলেও বাংলাদেশে ততোটা আঘাত করতে পারেনি ঘূর্ণিঝড় ফণী। সেখানকার প্রায় অর্ধেক গতিতে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল ফণী। এছাড়া পূর্ব প্রস্তুতি থাকায় তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়নি বাংলাদেশ।
এরপরও দেশের বিভিন্ন জায়গায় ফণীর কারণে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যুর খবর আমরা পেয়েছি, যেখানে ভারতে প্রাণহানির সংখ্যা ৮। উড়িষ্যায় ভূমিধস হলেও বাংলাদেশে নিহতের সংখ্যা বাড়ার কারণ হচ্ছে বজ্রপাত, ঘর ভাঙা এবং গাছচাপা। এছাড়া ফণীর কারণে অনেকেই আহত হয়েছেন, কয়েকশ’ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
শুরু থেকেই ফণী মোকাবিলায় সরকারের ব্যাপক প্রস্তুতি লক্ষ্য করা গেছে। এত অল্প সময়ের মধ্যে দ্রুত সময়ের মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার প্রায় সাড়ে ১২ লাখ মানুষকে সাইক্লোন আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এছাড়াও সচেতনতা কার্যক্রমসহ আরও অনেকভাবে ফণী মোকাবিলায় সবাই ঐক্যবদ্ধ ছিল। এজন্য আমরা উক্ত জেলা-উপজেলা প্রশাসনসহ এসব এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাসহ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তবে অনেক এলাকায়, বিশেষ করে কিছু বিচ্ছিন্ন দ্বীপে সাইক্লোন আশ্রয়কেন্দ্র না থাকার খবরও আমরা পেয়েছি। এসব এলাকায় সাইক্লোন আশ্রয়কেন্দ্র বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে এখনই গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে।
ফণী প্রবল গতিবেগ নিয়ে না আসলেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় বেড়িবাঁধসহ সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ির অনেক ক্ষতি করে গেছে। উপকূলীয় অঞ্চলে ধান এবং রবিশস্য সহ ফসলের ক্ষতিও হয়েছে অনেক। সকলের সহায়তা পেলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা খুব সহজেই ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে আমরা মনে করি।
তাই ফণী পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতা এবং সাধারণ মানুষকে এই ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠার ক্ষেত্রে সহায়তা করতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায় থেকে সকলকে এগিয়ে আসতে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।