চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ফখরুলের আল্লাহ-খোদায় বিশ্বাস কম: ওবায়দুল কাদের

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা কেন্দ্র করে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের যে সমালোচনা করছেন বিএনপি নেতারা তার জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছেন: আমি আমার বক্তব্যে অনড়। মির্জা ফখরুল সাহেব তো বাম রাজনীতি করতেন, মনে হয় আল্লাহ-খোদায় বিশ্বাস কম।

রোববার বিকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির ভারত সফর আগে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন: হায়াৎ-মওত আল্লাহর হাতে। এই যে আমি বসে আছি এখান থেকে উঠে দরজা পর্যন্ত যেতে যেও তো আমার মৃত্যু হতে পারে।

এর আগে খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ঘিরে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের জেরে কাদের বলেছিলেন: বাঁচা-মরা আল্লাহর হাতে। ডাক্তার চিকিৎসা করছেন। এখন সরকার কী করতে পারে।

ওবায়দুল কাদের এমন বক্তব্যে শঙ্কিত প্রতিক্রিয়া জানান বিএনপি নেতারা।

ভারত সফর নিয়ে তিনি বলেন: অাগামীকাল অাওয়ামী লীগের ১৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ভারত সফরে যাবে। দু’দেশের সম্পর্ক মজবুত করতেই এ সফর। এ সফরের সাথে নির্বাচনের সাথে সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি আরো বলেন: ভারত- বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কে স্বার্থ অাছে। দু’দেশের পারস্পরিক স্বার্থে ভারতের সাথে সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে চায় বাংলাদেশ।

সফরে পার্টি টু পার্টি আলোচনা আছে। নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনা আছে। খুব শর্ট কিন্তু গুরুত্ববহ। কর্মসূচীর মধ্যে আছে মহাত্মা গান্ধির স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা অর্পণ করে বাংলাদেশ হাই কমিশনের আয়োজনে ভোজে অংশগ্রহণ। তারপরের দিন ২৩ তারিখ খুব ব্যস্ততা থাকবে। বিজেপির সঙ্গে আলোচনা।

২৪ তারিখ ভারত ত্যাগ করবো। এর আগেও ভারত যাবার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমদের সফরের সঙ্গে নির্বাচনের কোন সম্পর্ক নেই। এই সফরে শুধু বায়লেটেরাল টকস হবে। খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

সফরের পর ইন্ডিকেশন কি তা বোঝা যাবে। এখনই বলতে পারবো না।

ভারত সফরে যাওয়া আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলের সদস্যগন

ভারত সফর নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নর পাল্টা প্রশ্নে কাদের বলেন: এই সফর নিয়ে কথা উঠছে কেন! কদিন আগেও তো ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দল চীন সফরে গিয়েছিল। চীনকে কি তাহলে আপনারা ছোট করে দেখছেন!

বলেন: ইন্দো-বাংলা সম্পর্ক ৭১ সাল থেকে। রক্তের রাখিবন্ধন। একটা দেশের সাথে সাথে সম্পর্কে উভয়েরই স্বার্থ আছে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না ভারতের সাথে আমাদের সীমান্ত অনেক বড়। তাদের সাথে যুদ্ধ করে তো সমাধান হবে না। আলাপ আলোচনা করেই সমাধান করতে হবে।

৭৪’র ল্যান্ড বাউন্ডারি চুক্তিও কিন্তু শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারনে বাস্তবায়ন হয়েছে। আমাদের ভিজিটটা যেহেতু খুব ছোট তারপরও আমাদের সবধরনের চেষ্টা থাকবে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার চাইলেই তো তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন করতে পারবে না। কারণ পশ্চিমবঙ্গের একটা প্রভাব পড়বে না।

নির্বাচনে ভারত এবং দেশটির সরকার হস্তক্ষেপ করে না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলে থাকবেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এ কে এম এনামুল হক শামীম, মেজবাহ উদ্দিন সিরাজ, মহিবুল হাসান চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা এবং সদস্য গোলাম কবির রাব্বানী।