নয় বছর মহাকাশ পরিভ্রমণের পর বামন-গ্রহ প্লুটোর খুব কাছ দিয়ে উড়ে এসে মহাকাশ অভিযানে নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করলো নাসার মহাকাশযান নিউ হরাইজোনস। প্রতি সেকেন্ডে ১৪ কিলোমিটার বেগে প্লুটোর পাশ দিয়ে উড়েছে মহাকাশযানটি।
প্রায় ৫শ’ কোটি কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে শেষ পর্যন্ত সৌরজগতের বামন-গ্রহ প্লুটোকে পরিদর্শনের মাধ্যমে সৌরজগতের চেনাজানা গ্রহ-উপগ্রহগুলোতে পৃথিবীর মানুষের আয়ত্ত নিশ্চিত হলো। কারণ এযাবৎ কালে পরিচালিত মহাকাশ মিশনগুলোতে একমাত্র প্লুটোই ছিলো অধরা। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা-নাসার মনুষ্যবিহীন মহাকাশযাননিউ হরাইজোনস এবার সেই অপূর্ণতাও পূরণ করলো।
যাত্রা শুরুর পর প্লুটোর বহু দূর থেকেই একের পর এক ছবি পাঠিয়ে আসছে যানটি। তবে দূর থেকে পাঠানো ছবিগুলো স্পষ্ট ছিল না। যানটি বামন-গ্রহের যত কাছে গেছে ততই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ছবিগুলো। সোমবার সর্বশেষ প্লুটোর বৃহত্তম ‘চাঁদ’ ক্যারনের ছবি পাঠায় নিউ হোরাইজনস। মঙ্গলবার প্লুটোর আরো স্পষ্ট ছবি প্রকাশ করেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। আগামীতে আরো বেশি ছবি ও নতুন নতুন তথ্য পাওয়ার আশা করছেন তারা।
প্লুটোর ১২ হাজার ৫শ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছানোর পর নিউ হরাইজনস তার ক্যামেরা ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবি এবং অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করবে এবং পৃথিবীর নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সাথে যোগাযোগ করবে। ছবি এবং তথ্য সংগ্রহ শেষে মিশনের সমাপ্তিতে প্লুটো জয়ী নিউ হরাইজোনসকে বরণ করে নিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে হবে আর কয়েকটি দিন। দেখা যাক কতো চমৎকার ছবি নিয়ে ফেরত আসে নিউ হরাইজোনস।