হাতে এখনো পাঁচ উইকেট আছে সাউথ আফ্রিকার। সময় দুইদিন। কিন্তু সময় কিংবা উইকেট আসল চিত্রটা দেখাচ্ছে না। আসল চিত্রটা হচ্ছে, প্রোটিয়াদের নাস্তানাবুদ করে হোয়াটওয়াশ করার অপেক্ষায় শ্রীলঙ্কা।
কলম্বো টেস্টের তৃতীয় দিনে সাউথ আফ্রিকার ৫ স্তম্ভ ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দিয়ে জয়ের অপেক্ষায় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। ম্যাচ জিততে হলে আরও ৩৫১ রান করতে হবে প্রোটিয়াদের। আর বাঁচাতে হলে করতে হবে টানা দুদিন ব্যাটিং। স্পিনসহায়ক উইকেটে যা এক প্রকার অসম্ভবই সফরকারীদের জন্য।
দ্বিতীয় দিন শেষে ৩৬৫ রানের লিডকে ৪৮৯ রান পর্যন্ত টেনে নিয়ে তৃতীয় দিনের মাঝামাঝিতে ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ২৭৫ রান। আগের দিনে ৫৯ রানে অপরাজিত ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে থেমেছেন শতক থেকে ১৫ রান দূরে। আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ করেছেন ৭১ রান।
লঙ্কানদের পাঁচ উইকেটের তিনটিই নিয়েছেন কেশব মহারাজ। সব মিলিয়ে এ প্রোটিয়া স্পিনারের সংগ্রহ মোট ১২ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেট শিকার করেছিলেন মহারাজ।
৪৯০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৩ রানের মাথায় প্রথম ধাক্কা খায় প্রোটিয়ারা। ব্যক্তিগত ১৪ রানে এডেন মার্করামকে সাজঘরের পথ দেখান রঙ্গনা হেরাথ। এরপর ওয়ানডাউনে নামা থিউনিস ডি ব্রুইনকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন আরেক ওপেনার ডিন এলগার। দুজনে ৫৭ রানের জুটি গড়েছিলেন। কিন্তু ৩৭ রান করা এলগারকে ফিরিয়ে অতিথিদের ইনিংসে ধসের সূচনা করেন ৩৬তম জন্মদিন পালন করা দিলরুয়ান পেরেরা।
পরে একে একে ফিরে যান হাশিম আমলা (৬) ,অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসিস (৭) ও কেশব মহারাজ (০)। ১৪ রান করা টেম্বা বাভুমাকে নিয়ে বাকি দিনটা দাঁত কামড়ে শেষ করেছেন ৪৫ রানে অপরাজিত ডি ব্রুইন। দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন হেরাথ ও আকিলা ধনাঞ্জায়া। বাকি উইকেটটি পেরেরার।
ব্রুইন কিংবা বাভুমার পর কেবল কুইন্টিন ডি ককই প্রোটিয়াদের মধ্যে একমাত্র স্বীকৃত ব্যাটসম্যান। তিনি ফিরে গেলেই হোয়াটওয়াশ প্রায় নিশ্চিত হয়ে পড়বে অতিথিদের জন্য। গলে প্রথম টেস্টে ২৭৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছিল প্রোটিয়ারা।