হ্যাগলি ওভালে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয়টিতে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সাউথ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে সফরকারীদের করা ৩৬৪ রানের জবাব দিতে নেমে স্বস্তিতে নেই নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় দিন শেষে তাদের স্কোর ৫ উইকেটে ১৫৭ রান।
অতিথি দলের চেয়ে এখনো ২০৭ রানে পিছিয়ে আছে ব্ল্যাক ক্যাপরা। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ৬১ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৫৪ রান ও ৭৫ বলে ৪টি চারের মারে ২৯ রান নিয়ে ড্যারিল মিচেল তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন।
শনিবার ৩ উইকেটে ২৩৮ রান নিয়ে প্রোটিয়ারা দিনের খেলা শুরু করে। ডুসেন ও বাভুমা চতুর্থ উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়েন। ৮১ বলে ৫ চারে ২৯ রান করে ম্যাট হেনরির বলে বাভুমা বোল্ড হলে এই জুটি ভাঙে। খানিক পর ক্রিজ ছাড়েন কাইল ভেরেয়ানে। ৪ রান করে তিনি হেনরির বলে টম ল্যাথামের তালুবন্দি হন।
১২৪ বল খেলে প্রায় তিন ঘণ্টা মাটি কামড়ে পড়ে থাকার পর ডুসেন কেবল একটি চারে ৩৫ রান করার পর থামেন। নেইল ওয়াগনারের হাফভলি বলে দ্বিতীয় স্লিপে ড্যারিল মিচেলের হাতে ধরা পড়েন।
১৪ রান করা উইয়ান মুল্ডারের উইকেটও পান ওয়াগনার। কাগিসো রাবাদা ৬ রান করে মাঠ ছাড়ার সময় সাউথ আফ্রিকার স্কোর ৮ উইকেটে ৩০২।
এরপর কেশব মহারাজের ৫০ বলে ৬ চারের মারে খেলা ৩৬ রানের ইনিংসে ভর করে অতিথিরা সাড়ে তিনশ রানের গণ্ডি পার হয়। কাইল জেমিসনের বলে তিনি হেনরি নিকোলসের ক্যাচে পরিণত হয়ে ড্রেসিং রুমে ফেরেন। রানের খাতা না খোলা লুথো সিপামলা শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হলে থামে প্রোটিয়াদের ইনিংস।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৪ উইকেট পান ওয়াগনার। এছাড়া হেনরি ৩টি, জেমিসন ২টি ও টিম সাউদি পান একটি উইকেট।
ক্রাইস্টচার্চে প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ২৭৬ রানের বিশাল ব্যবধানে জেতা কিউইরা শুরুতেই রাবাদার তোপের মুখে পড়ে যায়। প্রথম ওভারেই তিনি কোনো রান না করা ল্যাথামকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন।
৩ রান করা উইল ইয়াংও উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে ধরা পড়েন রাবাদার বলে। স্বাগতিকরা ৯ রানের দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে।
তৃতীয় উইকেটে ৪২ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়েছিলেন ডেভন কনওয়ে ও হেনরি নিকোলস। ১৬ রান করা কনওয়েও তার আগের দুই সতীর্থের ধারাবাহিকতায় উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। এবার বোলার ছিলেন মার্কো জানসেন।
টম ব্লান্ডেলকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ৩২ রানের জুটি গড়ার পর আউট হন নিকোলস। ৬৩ বলে ৮ চারে ৩৯ রান করা এই ব্যাটারের ক্যাচ নেন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে থাকা সারেল এরউই।
খানিক পর রাবাদার বলে ৬ রান করা ব্লান্ডেল বোল্ড হন। ৯১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়ে নিউজিল্যান্ড। এরপর দলকে সেই বিপদ থেকে উদ্ধারে নামেন গ্র্যান্ডহোম ও মিচেল। এই দুই ব্যাটার ৬৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে কিউইদের ভালো কিছু করার আশা বাঁচিয়ে রেখেছেন।