প্রেমিককে বিয়ে করতে ১৯ বছর বয়সী এক তরুণী গণধর্ষণের মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে বলে জানিয়েছে ভারতের নাগপুর পুলিশ। নাগপুর পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার মামলার তদন্ত শেষে এ তথ্য জানান।
সোমবার নাগপুরের কালামনা থানায় ওই তরুণী দুইজন অজ্ঞাত ব্যক্তি দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটি দায়ের করে।
অভিযোগে তরুণী উল্লেখ করে, সকালে তার গানের ক্লাসে যাওয়ার পথে সাদা ভ্যানে চড়ে দুজন ব্যক্তি তার কাছে রাস্তা জানতে চায়। তখন একজন ব্যক্তি তাকে জোর করে ভ্যানে তুলে নেয় এবং কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে দেয়। এরপর তারা তরুণীকে নাগপুরের চিখালি গ্রামের নির্জন এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করে।
নগর পুলিশ তাৎক্ষনিক তদন্ত শুরু করে দেয়।
বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে পেরে কালামনা থানার পুলিশ অজ্ঞাতব্যক্তিদের নামে ভারতীয় দণ্ডবিধির প্রাসঙ্গিক ধারায় অভিযোগ নথিভুক্ত করেন। পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমারসহ প্রায় ১ হাজার নিরাপত্তা এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহযোগে এই ঘটনার তদন্ত করেন। ৪০টি বিশেষ টিম গঠন করে শহরের বিভিন্ন জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ, ভ্যান এবং তরুণীর বান্ধবীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দেয়।
অমিতেশ কুমার জানান, টানা ৬ ঘণ্টা পরিশ্রম, ২৫০ এর বেশি সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই এবং ৫০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর পুলিশ এই সিদ্ধান্তে পৌঁছে যে তরুণী ধর্ষণের মিথ্যে ঘটনা সাজিয়েছে। পরে তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে স্বীকার করে, তার প্রেমিককে বিয়ে করতে সে এই মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।