ভিকারুননিসা নূন স্কুলের শিক্ষার্থী প্রিয়াংকা হত্যা মামলায় আপন মামা রিন্টুকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। যথাযথ সাক্ষী না থাকায় আর দীর্ঘদিন কনডেম সেলে থাকার বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সাজা কমানো হয়েছে।
রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে, সন্তানদের নিরাপত্তায় বাবা-মায়ের আরও সতর্ক হওয়ার বিষয়ে বার্তা দেওয়া হয়েছে মামলায়।
ঘটনার সময়কাল ২০০৭ সালের ১৮ জুলাই। বড় মগবাজারে নিজেদের বাসায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী সাদিয়া আকতার নৌশিন প্রিয়াংকাকে ওড়না পেঁচিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে তার আপন মামা জাহিদুল হক রিন্টু।
এই ঘটনার পর নিহতের বাবা সুলতান ফারুক মামলা করলে তদন্ত করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এতে বলা হয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজের তৎকালীন প্রভাষক জিনাত লায়লা ময়নাতদন্ত করে রিপোর্টে উল্লেখ করে আত্মহত্যা করেছে প্রিয়াংকা। এ বিষয়ে পুলিশের কাছে তথ্য দেয় আসামি রিন্টু।
পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বোর্ডও ওই চিকিৎসকের বক্তব্য সমর্থন করে। ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি বিচারিক আদালত পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে প্রিয়াংকার মামা রিন্টুকে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। এর বিরুদ্ধে জেল আপিল ও ডেথ রেফারেন্স এর শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
এই ঘটনার মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের আরও সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
হাইকোর্টের রায় ঘোষণার সময় প্রিয়াংকার পরিবারের সদস্যদের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: