বৃহস্পতিবার প্রিমিয়ারে দেখানো হবে বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর নির্মিত ডকু-ড্রামা ‘হাসিনা-অ্যা ডটারস টেল’। এমন আমন্ত্রণে এদিন বিকাল ৫টা থেকেই অতিথিরা ভিড় করেন বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্রেক্সে।
প্রিমিয়ার শোতে কে ছিলেন না! এমপি, মন্ত্রী ও রাজনীতিবীদ থেকে শুরু করে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, সিনেমা নির্মাতাসহ ছোট ও বড় পর্দার অভিনেতা অভিনেত্রীরাও। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের হয়ে প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানে ছিলেন শেখ রেহেনার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি।
প্রিমিয়ারে এদিন দুটি শোয়ের আয়োজন করে সিআরআই। একটি শুরু হয় সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায়, এবং অন্যটি শুরু হয় সাড়ে আটটায়। দুটি শোতেই কানায় কানায় পূর্ণ ছিলো বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্স-এর চার নম্বর হল রুমটি।
‘হাসিনা: অ্যা ডটারস টেল’ রীতিমত আবেগাপ্লুত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবুল মুহিত। এটাকে কালোত্তীর্ণ আখ্যা দিয়ে মন্ত্রী পরিষদের বয়োজৈষ্ঠ্য এই সদস্য বলেন, ‘হাসিনা: অ্যা ডটারস টেল’ অভূতপূর্ব ও কালোত্তীর্ণ একটি ছবি! এটা শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে, একটি মানুষের জীবনের বিভিন্ন দিক সেখানে প্রতিফলিত হয়েছে। অত্যন্ত সার্থক ছবি। অনেক কিছু নতুন জানলাম। অসম্ভব টাচি একটি সিনেমা এটি।
এরআগে ‘হাসিনা’র মতো কোনো ছবি পর্দায় দেখে এতোটা স্পর্শ করেনি জানিয়ে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমার এই সত্তর বছর বয়সে পর্দায় যা দেখেছি ‘হাসিনা’ দেখার মতো অভিজ্ঞতা আমি পাইনি। এটা অসাধারণ একটি বায়োপিক।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, মানবতার যে স্তরগুলো আছে আমার মনে হয় সবগুলো স্তরকে স্পর্শ করেছে, সবগুলো স্তরকে অতিক্রম করেছে ‘হাসিনা: ডটারস টেল’ ছবিটি।
প্রথম প্রিমিয়ার শো হওয়ার পর চারদিকে শুধু প্রশংসা! নির্মাতা পিপলু খানের তখন কী অবস্থা! ছবিটি নিয়ে তিনি বলেন, ‘হাসিনা: অ্যা ডটারস টেল’ ডকু-ফিকশনটি সবাই পছন্দ করবেন বলেই আমার বিশ্বাস ছিলো। কারণ এই ছবিটা দেখার জন্য কাউকে পলিটিশিয়ান হওয়ার দরকার নেই, শেখ হাসিনার ফ্যান কিংবা ক্রিটিক হওয়ারও দরকার নেই। জাস্ট ছবিটা দেখুন, কেনো না এই ছবিটাতে আমি আমার দেশকে খোঁজার চেষ্টা করেছি যা আমি পেয়েছি।
পিপলু খানের পরিচালনায় ‘হাসিনা’ ডকু-ফিকশনের কাহিনী গড়ে উঠেছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের দুঃখ-বিষাদ, ব্যক্তিগত আখ্যান, আর নৈকট্যের গল্পগুলো নিয়ে। যদিও নির্মাতা বলছেন, এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বায়োপিক নয়, বরং এটা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার গল্প। ১৬ নভেম্বর ঢাকায় বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্স, যমুনা ব্লকবাস্টার ও মধুমিতায় ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। আর রাজধানীর বাইরে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে চট্টগ্রামের মিনিপ্লেক্সে।