মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র সফরের বিরুদ্ধে লাখো ব্রিটিশের বিক্ষোভের পাশাপাশি এই সফর ঠেকাতে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ একটি পিটিশনে সই করেছে। তবে এর সঙ্গে আলোচনায় যোগ হয়েছে প্রিন্সেস কেট মিডলটন সম্পর্কে ট্রাম্পের অতীতে করা মন্তব্য, যা তার সফরটিকে আরও অস্বস্তিকর বানিয়ে দিতে পারে।
ডাচেস অব কেমব্রিজ ও প্রিন্স উইলিয়ামের স্ত্রী কেট ২০১২ সালে পাপারাজিদের ক্যামেরায় বন্দী হয়েছিলেন নিজস্ব বারান্দায় টপলেস অবস্থায় রৌদ্রস্নানের সময়। তখন তিনি ফ্রান্সে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। ছবিগুলো ফরাসি ম্যাগাজিন ক্লোজার-এ প্রকাশিত হলে তাতে ‘ব্যথিত’ হয়েছেন বলে জানান কেট ও উইলিয়াম। তবে এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেননি তারা।
বেশিরভাগ মানুষ রাজপরিবারের ব্যক্তিগত জীবনে এমন অনধিকার হামলায় ভীষণ বিরক্তি প্রকাশ করলেও ট্রাম্প হননি। তিনি বরং এ ঘটনায় প্রথমেই কেটকে দোষ দিয়েছেন টপলেস অবস্থায় রোদ পোহানোর জন্য।
ওই সময় এক টুইটবার্তায় ট্রাম্প বলেন, কেট মিডলটন খুব ‘ভালো’। কিন্তু এ ঘটনার জন্য সব দোষ তারই। “কেট যদি নগ্ন হয়ে রোদ পোহানোর মতো কাজ করতে পারে তাহলে কে-ই বা তার ছবি তুলে টাকা কামাতে চাইবে না? তুমিও পারো কেট!” বলেন ট্রাম্প।
২০১২’র সেপ্টেম্বরে টুইটটি পোস্ট করার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প তার মন্তব্যের জন্য ব্যাপক সমালোচনা ও নিন্দা পেয়েছিলেন। তারপর বিষয়টি ঠাণ্ডা হয়ে এসেছিল। কিন্তু ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন বলে আলোচনাটি আবারও সবার সামনে উঠে এসেছে।