তথ্য প্রযুক্তি আইনে আটক সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের প্রায় অক্ষম বাম হাতেও হাতকড়া লাগিয়ে আদালতে আনা হয়। এভাবে একজন পঙ্গু মানুষকে হাতকড়া পরানোকে ‘অনভিপ্রেত’ বলেছেন মানবাধিকারকর্মীরা।
মানবাধিকারকর্মী ও আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, এটা খুবই অনভিপ্রেত। রাষ্ট্রীয় বাহিনীর কাছ থেকে আমরা কখনোই এরকম ব্যবহার আশা করি না।
আদালতে নেওয়ার পথে দেখা যায়, পুলিশ প্রবীর সিকদারের যে হাতে হাতকড়া লাগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সেই বাঁ হাতেই ক্র্যাচ ধরে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছেন তিনি।
বাঁ পা না থাকায় এবং বাঁ হাতে হাতকড়া লাগানোয় ঠিকমতো হাঁটতেও পারছিলেন না প্রবীর সিকদার।
ছেলে সুপ্রিয় শিকদার জানান, ২০০১ সালে দৈনিক জনকণ্ঠের ফরিদপুর প্রতিনিধি থাকাকালে সন্ত্রাসীদের হামলায় মারাত্মক আহত হন তার বাবা। সেসময় একটি পা (বাঁ পা) হারান তিনি। তার হাতটিও সম্পূর্ণ সুস্থ নয়।
তার স্ত্রী অনিকা সিকদার বলেন, উনি শারীরিক ভাবে ম অসুস্থ। একটি পা না থাকায় উনি এমনিতেই দশ মিনেটের বেশি দাঁড়াতে পারেন না।
প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে ফরিদপুরে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করেন এডভোকেট স্বপন পাল। পরে ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।