নির্বাচনে অযথা পুলিশি হয়রানি না করতে এবং নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করতে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার রকিবউদ্দিন আহমদ। শিগগিরই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপিসমর্থিত প্রার্থীরা। ১৯ এপ্রিল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বৈঠকের পর সেনা মোতায়েন বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন সিইসি।
রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ঢাকা উত্তরের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে নির্বাচন কমিশন।
১৬ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে সরকারি দলসমর্থিত প্রার্থী ছাড়া ইসির কাছে সবার দাবি একটাই, সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি। একই সঙ্গে প্রশাসনের নিরপেক্ষতাসহ নির্বাচনে কালো টাকা বন্ধের দাবিও ছিলো প্রার্থীদের। অনেক প্রার্থী যখন সরকারি দলের প্রার্থী প্রভাব বিস্তার করবেন বলে অভিযোগ করছিলেন, তখন সরকারি দলের প্রার্থী বলেন, নির্বাচন কমিশন যাতে সবার অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কোনো ছাড় না দেয়।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকেই চাই যে নির্বাচনে যেন একটা লেভেল প্লেইং ফিল্ড থাকে। যতদুর সম্ভব নির্বাচন কমিশন যেন প্রার্থীদের দাবিগুলো মেনে নেন। তবে বিএনপিসমর্থিত প্রার্থী সিইসি’র কাছে সেনা মোতায়েনের দাবিসহ পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। আমি কমিশনকে অনুরোধ করছি এখানে হস্তক্ষেপ করে তাদের জামিনের ব্যবস্থা করা হোক।’
বিএনপসমর্থিত প্রার্থী তাবিথ আওয়াল বলেন, ‘পুলিশি হয়রানির কারণে আমাদের অনেক নেতাকর্মী এখনো জেলখানায় আটক রয়েছে অথবা আত্মগোপনে আছে। তাই সব বাধা বিপত্তি দূর করে নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টির জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেবেন সিইসি।’
সিইসি রকিবউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমি পুলিশ প্রশাসনকে আবারও বলছি এবং নির্দেশ দিচ্ছি অযথা হয়রানি যেন কেউ না হয় সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখবেন। যেভাবেই হোক আমরা সর্বোচ্চ শান্তিতে নির্বাচন করবো যাতে করে প্রত্যেকটা ভোটার নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেন এবং পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন।’
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রার্থী এবং ভোটারদের নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখার আহ্বান সিইসির।
নির্বাচনে আগে সব মেয়র প্রার্থীকে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে সমানভাবে দেখানো হয় না বলে্ও সিইসির কাছে নালিশ করেন উত্তরের অনেক মেয়র প্রার্থী।
বেশ কয়েকজন মেয়র প্রার্থী অন্য বিষয়ে কোনো অভিযোগ বা আপত্তি না জানালেও গণমাধ্যমে কেনো তাদের ছবি দেখানো হয় না, বা কেনো তাদের বক্তৃতা-বিবৃতি প্রচার করা হয় না; তা নিয়ে সিইসির কাছে অভিযোগ করেন। এ নিয়ে বেশ কিছু সময় ধরে চলা হট্টগোল থামাতে খানিকটা বেগ পেতে হয় ইসি কর্মকর্তাদের। প্রধান নির্বাচন কমিশনার পরে বিটিভি এবং অন্য গণমাধ্যমগুলোতে আপত্তি তোলা মেয়র প্রার্থীদের বক্তব্য প্রচারের অনুরোধ জানান।