চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

প্রাণের ভয়ে ফুটবল ছাড়লেন ব্রাজিলিয়ান কর্মকর্তা

ক্রিকেট যদি ভারতে আরেকটি ধর্ম হয়, তাহলে ব্রাজিলে সেই ধর্মের নাম ফুটবল। খেলাটিকে নিয়ে দেশটির সমর্থকরা এতটাই উন্মত্ত যে প্রয়োজনে হামলা-খুনোখুনিতেও অরুচি নেই তাদের। এবার সেই উগ্রতার কিছুটা নমুনা টের পাচ্ছেন সার্জিও সেরেরা। প্রাণের ভয়ে দ্বিতীয় বিভাগের দল পায়সান্দু স্পোর্টসের সভাপতি পদটাই ছেড়ে দিয়েছেন।

পায়সান্দু উওর ব্রাজিলের অন্যতম বড় এবং সফল ক্লাব। দ্বিতীয় বিভাগ সিরি বি’র দল। কিন্তু চলতি মৌসুমে নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি ক্লাবটি। হার দেখতে দেখতে একবারে গিয়ে ঠেকেছে অবনমন অঞ্চলের দ্বারপ্রান্তে। আর নিজেদের প্রিয় ক্লাবের এমন দশা একদম ভালো চোখে দেখেনি ক্লাবের সমর্থকরা।

রোববার নিজের স্ত্রী এবং ছেলেকে নিয়ে বাইরে বেরিয়েছিলেন সেরেরা। এমন সময় তাকে এবং তার পরিবারের জীবননাশের হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা।

সেরেরার বোন ক্রিস্টিনা সেরেরা বলেন, ‘‘ওদের একজন মুখ ঢাকা এবং শার্ট পরা ছিল, আমার ভাইকে বললো ‘তুমি কোথায় থাকো তা আমি জানি। যদি পায়সান্দু এবার সিরি সিতে নেমে যায় তাহলে কিন্তু তোমার এবং তোমার স্ত্রী-সন্তানের জীবন এখানেই শেষ’। আমার ভাই এতটাই ভয় পেয়েছে যে ও এখনও স্বাভাবিক না। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পদত্যাগ করাই সঠিক বলে মনে হয়েছে তার।’’

ব্রাজিলে এই ধরনের জীবননাশের হুমকি কিন্তু নতুন কিছু নয়। ২০১১ সালে বিশ্বকাপজয়ী ডিফেন্ডার রবার্তো কার্লোসকে নাকি মোটরসাইকেলে অনুসরণ করেছিল সন্ত্রাসীরা। এমনকি তাকে ফোন দিয়েও জীবননাশের হুমকি দেয়া হয়েছিল। কোপা লিবার্তোস থেকে করিন্থিয়াস বাদ পড়ে যাওয়ায় এই হুমকি পেয়েছিলেন সাবেক সেন্টারব্যাক। ২০১৪ সালে ব্রাজিল জাতীয় দলের আরেক ফুটবলার ফ্রেডও ঠিক এই রকম হুমকি পেয়েছিলেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে বোটাফেগো এবং ফ্লেমিঙ্গোর মধ্যে সমর্থকদের মধ্যে দাঙ্গায় নিহত হয়েছিল এক সমর্থক। এমনকি দুই বছর আগে আটজন করিন্থিয়ান্স সমর্থককে ফুটবলে আজীবন নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয় ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশন।