চট্টগ্রাম থেকে: প্রথম দিন গ্যালারি মোটামুটি ভরাই ছিল। পরের কদিনেও টুকটাক দর্শক এসেছে। কিন্তু শেষ দিন প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম প্রাণহীন, নিঃসঙ্গ। এমন দিনে স্বাগতিক চিটাগং ভাইকিংস টস হেরে আগে বল করতে নেমে রাজশাহী কিংসকে ১৫৭ রানে আটকে দিয়েছে।
রাজশাহীর ড্যারেন স্যামি প্রায় প্রতিদিন শেষ দিকে দলের রান বাড়াতে সাহায্য করছেন। এদিনও ২৫ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলে সেই চেষ্টাটা করে গেলেন। তার আগে জাকির হাসান নামক এক তরুণ আরেকবার বার্তা দিয়েছেন- সময় পেলে আমিও একদিন ফুটবো।
জাকির এই মৌসুমে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন। পরের দিন করেন ৩৬। ভেতরে এক ম্যাচে শূন্য রানে ফিরে পরের দুই ম্যাচে ১৯, ২০। বুধবার ১১ বলে দুই চার, এক ছয়ে ১৭। ‘১৭’ সংখ্যাটি দিয়ে জাকিরকে বিচার করতে গেলে বড় ভুল করা হবে। মুমিনুল (৭) আজ দ্বিতীয় ওভারে আউট হয়ে যাওয়ায় পাওয়ার প্লের সময় নেমে যান জাকির। তার জন্য ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট ফাঁকা রেখে গালি আর শর্ট-থার্ডম্যানে ফিল্ডার রাখেন ভাইকিংস অধিনায়ক লুক রঞ্চি।
বাঁহাতি জাকিরের জন্য অফসাইডে ত্রিশগজে আর ফিল্ডার ছিল কাভারে কয়েক হাত গ্যাপ দিয়ে পরপর দুজন। তারপর মিডঅফ। ত্রিশগজের বাইরে যে দুজন তারা লেগসাইডে। তাসকিন পরিকল্পনামতো আউটসাইড অফস্টাম্পে বল করতে থাকেন। চতুর্থ ওভারে জাকির তাসকিনকে যে দুটি চার মারেন তার একটি থার্ডম্যানের চোখের সামনে দিয়ে, পরেরটি পয়েন্ট দিয়ে। জাকিরের এই দুটি শটই রঞ্চিকে নতুন করে ভাবাতে বাধ্য করে। অফসাইডে তিনি আরও ফিল্ডার বাড়ান। দ্রুত রান তুলতে যেয়ে জাকির বোল্ড হন ঠিকই, পেছনে রেখে যান সাহসী ১৮টি মিনিট।
জাকির ফিরে যাওয়ার পর মুশফিক ৩১ রান করেন। ২২ বলে চারটি চার, একটি ছয়ে এই রান করেন তিনি। বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক এই মৌসুমে নিজের ছায়া হয়ে আছেন। এক ম্যাচে ৫৫ আরেক ম্যাচে অপরাজিত ২৫ ছাড়া বলার মতো কিছুই করতে পারেননি।
ডেথ ওভারে তাসকিন এদিনও খুব একটা ভালো করতে পারেননি। চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩৬ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়েছেন। ৩৩ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন রিচি। একটি করে উইকেট সাঞ্চামুল এবং নাঈম হাসানের।
পয়েন্ট টেবিলে চট্টগ্রামের অবস্থান তলানিতে। দলটি এই ম্যাচ জিততে পারলে রাজশাহীকে সাতে ঠেলে নিজেরা ষষ্ট স্থানে উঠবে। তাতে কিছু যাবে-আসবে না। শেষ চারের আশা তাদের একপ্রকার শেষই হয়ে গেছে।