নর্থ কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সৎভাই কিং জং ন্যামকে হত্যার সময় যে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে সেটির প্রতিষেধকের বোতল বহন করছিলেন তিনি নিজেই।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে অধিক মাত্রায় ‘ভিএক্স নার্ভ এজেন্ট’ প্রয়োগে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিটেই নর্থ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উনের সৎভাই কিম জং ন্যামের মৃত্যু হয়।
বিষটি তার মুখে ঘসে দেওয়া হয়। ভয়াবহ এই বিষটির প্রভাব নিয়ন্ত্রণের জন্য অ্যাট্রোপিন ব্যবহার করা হয়। যেটার ১২ বোতল ন্যামের কাছে ছিলো বলে সেখানকার স্থানীয় পত্রিকাগুলো জানিয়েছে।
মৃত্যুর সময় ন্যামের বহন করা একটি ব্যাকপ্যাকে এসব পাওয়া যায়। স্টার নিউজপেপারের তথ্যমতে, মালয়েশিয়ার উচ্চ আদালতকে ডাক্তাররা জানিয়েছেন, প্রতিষেধকগুলো তাদের কাছে পরীক্ষার জন্য পুলিশ হস্তান্তর করেছিলো। গত ১০ মার্চে আরো ৭টি জিনিসের সঙ্গে বিষবিজ্ঞান পরীক্ষণের জন্য ডাক্তারকে এগুলো দেয় পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামের দুজন নারী এই হত্যায় দায়ী নয় বলে রায় দিয়েছেন আদালত।
অভিযুক্ত দোয়ান থি হোং এবং সিটি আইয়াশকে ন্যামের মুখে বিষ ঘসে দেয়ার দায়ে দায়ী করা হয়। তাদের বক্তব্য, তারা কৌশলের শিকার। তারা মনে করেছিলো তারা কোন এক টিভির মজার ভিডিওতে অংশ নিচ্ছিলো।
এয়ারপোর্টের ডিপারচার লাউঞ্জের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দুজন নারী তার মুখে কিছু দেওয়ার আগে তার কাছে অনুমতি চেয়ে নিচ্ছে।
মালয়েশিয়ার আদালত বলছে, নর্থ কোরিয়ার চার জন এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত। যদিও পিয়ংইয়ং এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোন ধরনের সংযোগ অস্বীকার করেছে।