প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে নির্বাচিত একাদশে ছিলেন জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। তাদের সামলাতে অবশ্য মোটেও বেগ পেতে হয়নি তামিম ইকবালের দলের। ব্যাটে-বলে দারুণ প্রস্তুতি সেরেছে বাংলাদেশ। হারারেতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে যেটি আত্মবিশ্বাস যোগাতে পারে সফরকারীদের।
৫০ ওভারের ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৬ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে জিম্বাবুয়ে একাদশ ৪০.১ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান তোলার পর আলোক স্বল্পতায় আর খেলা হয়নি। প্রস্তুতি ম্যাচ হওয়ায় আর ফলাফলও হয়নি।
৯২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে একদম কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল স্বাগতিকরা। ডিওন মেয়ার্সের ৪২ ও টিমিসেন মারুমার অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংস খানিকটা লড়াইয়ের আশা দেখায় জিম্বাবুয়েকে।
রিচমন্ড মুতম্বামি ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৩০ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর এই জুটিই নির্বাচিত একাদশকে নিয়ে যায় দুইশর কাছে।
ইবাদত হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও মোসাদ্দেক হোসেন নেন দুটি করে উইকেট। শরিফুল ইসলাম নেন একটি উইকেট। ৫ বল করার পর চোটে পড়ে আর মাঠে নামতে পারেননি মোস্তাফিজুর রহমান।
ওপেনিংয়ে দুর্দান্ত জুটি। পরে দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে ধীরগতির ব্যাটিং। শেষে আবার চার-ছক্কায় রান বাড়ানোর তাড়া। একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিং পারফরম্যান্স এমনই ছিল বাংলাদেশের। অধিনায়ক তামিম ইকবাল খেলেছেন ৬২ বলে ৬৬ রানের ইনিংস।
চোটের জন্য টেস্ট খেলতে পারেননি তামিম। হাঁটুর চোট পুরোপুরি সেরে না উঠলেও ওয়ানডে সিরিজ খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। জিম্বাবুয়ের কন্ডিশনে তামিম নিজেকে খাপ খাইয়ে নিয়েছেন দারুণভাবে। হারারের ২২ গজে ছিলেন সাবলীল। মেরেছেন ১১টি চার ও একটি ছক্কা।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে তরুণ ওপেনার নাঈম শেখকে নিয়ে তামিম জুটি গড়েন ৮৭ রানের। ১৭তম ওভারের শেষ বলে নাঈম আউট হলে ভাঙে জুটিটি।
বাংলাদেশের রান যখন ১১০, সাজঘরে ফেরেন তামিম। চারে নেমে লিটন দাস ২ রান করে আউট হন। ১১৮ রানে ৩ উইকেট হারালে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
সাকিব আল হাসান ও মোহাম্মদ মিঠুন ৭২ রানের জুটি গড়েন চতুর্থ উইকেটে। ১৯০ রানের মাথায় সাকিব ফিরলে ভাঙে জুটি। আউট হওয়ার আগে সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ৬০ বলে ৩৭ রান।
মিঠুন ৪২ বলে ৩৯ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৩০ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে স্বেচ্ছা অবসরে যান। আফিফ হোসেন ধ্রুব ২৩ বলে ২৮ ও নুরুল হাসান সোহান ১২ বলে ১৮ রান করে আউট হন।
শেষ ১১ ওভারে বাংলাদেশ ইনিংসে যোগ হয় ১০৬ রান। জিম্বাবুয়ে দলের আরব আমিরাত বংশোদ্ভূত ক্রিকেটার ফারাজ আকরাম, তানাকা সিভাঞ্জা ও ওয়েসলে মাদভেরে দুটি করে উইকেট নেন।
পারিবারিক কারণে দেশের পথে রওনা হওয়ায় প্রস্তুতি ম্যাচে ছিলেন না মুশফিকুর রহিম। শুক্রবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শুরু হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। একই মাঠে সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ ১৮ ও ২০ জুলাই।