প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে নিরাশ করেছিলেন ব্যাটসম্যানরা। ফিফটি পেয়েছিলেন শুধু মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিকেএসপিতে নিজেদের মধ্যে দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে কক্ষপথে ফিরেছেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা। ফিফটি করেছেন দুই দলের চার ক্রিকেটার।
রানে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে স্বেচ্ছা অবসরে গেছেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
মাহমুদউল্লাহ একাদশ: ২২৩/৭ (৪৫ ওভার), তামিম একাদশ: ২২৪/৪ (৩৫.২ ওভার)
আগের ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ একাদশের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছিল তামিম একাদশ। শনিবার অধিনায়কের ৮০ রানের অপরাজিত ইনিংসে ৬ উইকেটে জয় পায় তারা।
৪৫ ওভার দৈর্ঘ্যর ম্যাচে ২২৪ রানের লক্ষ্যে তামিমমরা নোঙর করে ৫৮ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে। ৮০ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলে টাইগার ওপেনার স্বেচ্ছা অবসরে যান। এ বাঁহাতির ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার ও তিনটি ছয়ের মার।
আরেক ওপেনার লিটন দাসের ব্যাট থেকে আসে ৪৮ রান। ওপেনিং জুটিতে তামিম-লিটন যোগ করেন ৭৭ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ৫১ বলে ৬১ রান। মারেন সাতটি চার ও দুটি ছয়।
মো: মিঠুন ১৭ ও সৌম্য সরকার ১২ রানে অপরাজিত থেকে ৩৫.২ ওভারে খেলা শেষ করেন।
আজও উইকেটহীন ছিলেন সাকিব। ৩.২ ওভারে দেন ২১ রান। একটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ।
আগে ব্যাট করে সাকিব (৫২) ও নাঈম শেখের (৫০) ফিফটিতে ৪৫ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২২৩ রান তোলে মাহমুদউল্লাহ একাদশ। ইয়াসির আলি ২৪, মুশফিকুর রহিম ২৫, মোসাদ্দেক হোসেন ৩১ রান করেন।
সাইফউদ্দিন ও মেহেদী হাসান নেন দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন ও নাসুম আহমেদ।
প্রস্তুতি ম্যাচ শেষ হতেই মূল স্কোয়াড ঘোষণা করে বিসিবি। নতুন তিন ক্রিকেটারকে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে নামছে বাংলাদেশ।
মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন আল-আমিন হোসেন ও নাঈম শেখ। ফিরেছেন সাকিব আল হাসান ও তাসকিন আহমেদ। স্কোয়াডে রাখা হয়েছে মোট ১৮ জন ক্রিকেটারকে।
২০ ও ২২ জানুয়ারি মিরপুরে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ। ২৫ জানুয়ারি তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে চট্টগ্রামে। এই সিরিজ দিয়ে দীর্ঘ ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছে টিম টাইগার্স।