চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে, তবে আগের রাতে নয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে সেটা আমিও জানি। তবে সেটা সকাল দশটার পর; আগের রাতে নয় কোনভাবেই।

শুক্রবার রাতে চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি এ কথা বলেন।

শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন বৃহস্পতিবার রাতে ফাঁস হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘প্রমাণসহ’ খবর ছাপা হওয়ার পরে তিনি দাবি করেছেন, এটা একটা গুজব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে একটা অশুভ মহলের ষড়যন্ত্র।

তাই এ বিষয়ে কোন তদন্ত কমিটি গঠন বা পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের কোন ধরনের সম্ভাবনাকে নাকচ করে তিনি বলেন: এই পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না। যারা এসব গুজব ছড়াচ্ছে তাদের খুঁজে বের করা হবে।

‘শুক্রবার বেলা দুইটার আগে এক সাংবাদিকের মাধ্যমে আমি প্রথম শুনি যে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। এর আগে আমার কাছে কেউ বলেনি, অভিযোগও করেনি। তাই আমরা মনে করছি এটা একটা অশুভ মহলের ষড়যন্ত্র।’

আগের রাতেই প্রশ্ন পাওয়ার প্রমাণ সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন: আমিও জানি প্রশ্ন বাইরে গিয়েছে। তবে সেটা গিয়েছে সকাল ১০টার পর অর্থাৎ পরীক্ষা শুরুর পর। এর আগে প্রশ্ন বাইরে যাওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না।

‘আমি তথ্য-প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা আমাকে বলেছে, প্রযুক্তির সাহায্যে সময়সহ এরকম আরও অনেক কিছু ম্যানিপুলেশন করা সম্ভব। তারপরও কারা এসব কাজ করছে বা গুজব ছড়াচ্ছে তাদের তাদের খুঁজে বের করা হবে।’

বিকেলে প্রশ্ন ফাঁসের এ অভিযোগকে অবিশ্বাস্য বলেছেন ঘ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার মূল সমন্বয়ক অধ্যাপক সাদেকা হালিম।

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম বিকেলে চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: ‘আমি গতকাল সারারাত অফিস করেছি। সকালে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। আমার কাছে তো কেউ এখনও এ ধরনের অভিযোগ করেনি। তাছাড়া আমার কাছে এ অভিযোগ বিশ্বাসযোগ্যও মনে হয় না। তারপরেও প্রমাণ সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে। আমি আপাতত ফলাফল তৈরির কাজে ব্যস্ত আছি।’

পরীক্ষা চলাকালীন অসদুপায় অবলম্বনের জন্য বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ১২ জন এবং আগের রাতে দু’জনসহ মোট ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক সাদেকা হালিম।

এ বছর ঘ ইউনিটে ১ হাজার ৬১০টি আসনের বিপরীতে ৯৮ হাজার ৫৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন।