আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবারই প্রথম পরীক্ষায় বহুনির্বাচনী অংশ আগে অনুষ্ঠিত হবে। প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে শিক্ষাবোর্ডগুলো।
এবার ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে গত বছর এক বিষয়ে ফেল করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৪৬ হাজার ৩৪১ জন। এইচএসসিতে এবার প্রথমবারের মতো বহুনির্বাচনী অংশের পরীক্ষা আগে হবে। সময় থাকছে ৫০ মিনিট।
১০ মিনিট বিরতি দিয়ে পরের দু’ঘণ্টায় নেওয়া হবে সৃজনশীল অংশের পরীক্ষা। আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক বলছেন, কঠোর গোপনীতায় এবার জেলায় জেলায় প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়েছে। নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।
প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে আগের চেয়ে বেশি সতর্ক সরকার। ছাপা, পরিবহন ও অন্যান্য কাজের সঙ্গে জড়িতদের ছাড়াও বড় বড় কোচিং সেন্টারগুলোকেও গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন,‘আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষভাবে বলা আছে এবং গোয়েন্দাসংস্থাও বিশেষ নজরদারি করছে। প্রেসে কর্মীদের ভালোভাবে তল্লাশী করে ভেতরে প্রবেশ এবং বের হতে দেয়া হয়েছে। এমনকি প্রশ্ন জমা দেয়া শিক্ষকরাও জানেন না তার প্রশ্ন কোন বোর্ডে যাবে’।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড বলছে, পরীক্ষা অনুষ্ঠানের বিশাল এই কর্মযজ্ঞের সব আয়োজন শেষ করতে কয়েক মাস সময় লেগে যায়।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের সচিব শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, ‘একটি পরীক্ষা পরিচালনার জন্য তার পেছনে এবং সামনে যে কাজগুলো আছে সেগুলোর পরিধি-ব্যাপ্তি ব্যাপক। উদারহরণস্বরূপ শুধু ঢাকা বোর্ডেই ৫২ লাখ উত্তরপত্র দেখতে হচ্ছে। শিক্ষার্থী প্রতি দুটো অতিরিক্ত উত্তরপত্র ধরলে ১ কোটি ৪ লাখ উত্তরপত্র দেখতে হচ্ছে’।