কুড়িগ্রামের নয় উপজেলায় নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলে এবার প্রচুর পরিমাণ সরিষার আবাদ হয়েছে। তবে সরিষা ফুলকে কেন্দ্র করে মৌ চাষ শুরু হলেও প্রশিক্ষণ না থাকায় কৃষক মৌ চাষ করতে পারছেন না। এতে কয়েক কোটি টাকার বাড়তি উপার্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।
বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কুড়িগ্রামের অনেক কৃষক এবার সরিষা চাষ করেছেন। চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সরিষা ফুলের সমারোহ। সরিষা ফুলের মধু আহরণে আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি। তবে সব এলাকায় এখনো আসেনি মৌ চাষের ধারণা। কুড়িগ্রামের নয় উপজেলার মধ্যে রৌমারি উপজেলাতেই মৌ চাষ করছেন চাষি। অন্য এলাকায় প্রশিক্ষণ না থাকায় এখনো মৌ চাষ শুরু করা সম্ভব হয়নি।
সরিষা মৌসুমে তিন সপ্তাহে প্রতি বাক্স থেকে নয় থেকে দশ লিটার মধু সংগ্রহ করা সম্ভব। পাশাপাশি মৌমাছির পরাগায়নের মাধ্যমে সরিষার ফলনও বৃদ্ধি পায় অনেক।
এবার জেলার ১২ হাজার আটশ’ ৯৪ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের কথা জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। প্রতি হেক্টর সরিষা ক্ষেতের পাশে একশ’টি মৌ বাক্সে মধু চাষ করা সম্ভব।
বিস্তারিত দেখুন নিচের ভিডিও রিপোর্টে: