আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করে বলেছেন, পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনের মেধাবী অফিসারদের নামে নানা আজগুবি-বানোয়াট কথা প্রচার করে বিএনপি চাইছে প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে ভেঙে দিতে।
শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন: বিএনপি প্রশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলছে। সিভিল প্রশাসন-পুলিশ প্রশাসনে যে শৃঙ্খলা বিরাজ করছে, পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা যে কমিটমেন্ট নিয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে; সেই মুহূর্তে বিএনপি জনগণের কাছে পাত্তা না পেয়ে পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন মেধাবী কর্মকর্তাদের নামে অপপ্রচার করে আজগুবি বানোয়াট কথা প্রচার করে দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে ভেঙে দিতে চাইছে।
মূলত তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্য অকার্যকর প্রশাসনিক ব্যবস্থা কার্যকর করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন: যতই দিন যাচ্ছে নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের এই ঘৃণ্য মতলব ততই পরিষ্কার হচ্ছে।
ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির ইভিএম বিষয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন: যেহেতু আমাদের এখনো এক্সপার্টিজ(অভিজ্ঞ) এর অভাব আছে, জনগণেরও এ ব্যাপারে অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে, তাই সরকার চাইছে এবারের নির্বাচনে সীমিত পরিসরে ইভিএম ব্যবহার করা হোক। নির্বাচন কমিশনও সীমিত আকারে ইভিএমের ব্যবহার চাইছে বলে জানান কাদের।
কিন্তু বিএনপি ইভিএমকে কেন্দ্র করে যে অপপ্রচার করেছিল আপনারা দেখুন বাস্তবে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে তার কোন মিল নেই বলে ইভিএমপর স্বপক্ষে আবার অবস্থান জানান দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
এর মধ্যে দেশের বিভিন্ন অংশে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়াকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি আনন্দ মিছিল করার ঘটনা ঘটেছে। তাহলে কী কেন্দ্র থেকে কাউকে গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হয়েছে? জানতে চাইলে কাদের বলেন: উদ্দীপনাটা যদি না থাকতো তাহলে কি মিষ্টি খাওয়া হতো? মিষ্টি খাচ্ছে খাক না! হয়তো ভেবেছেন পেতে পারেন, তাই হয়তো খাচ্ছেন। এখনো তো আমরা ঘোষণা করিনি। কাল থেকে সবাই জানবেন। কাল অথবা পরশু মনোনয়ন ঘোষণা করা হবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।