চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

প্রশংসা পাচ্ছে চয়নিকার ‘রৌদ্রছায়া’, অপেক্ষায় তারিন-সালমান জুটির

করোনাকালেই গেল জুন মাসে নিজের চারশো তম নাটক নির্মাণ পূর্ণ করেছিলেন দেশের খ্যাতিমান নাট্যনির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। প্রতিকূলতার মধ্যেও নিজের মাইলফলক স্পর্শ করা কাজটি নিয়ে চ্যানেল আই অনলাইন পাঠকদের অভিজ্ঞতার গল্প শুনিয়ে ছিলেন তিনি। করোনাকালে ঈদুল আযহার জন্যও দর্শকের কথা ভেবে উপযুক্ত সুরক্ষা নিয়ে কাজ করেছেন এই নির্মাতা।

করোনার কারণে ঈদুল আযহায় মাত্র দুটি নাটক নির্মাণ করেছেন চয়নিকা চৌধুরী। তবে তার নির্মিত একাধিক পুরনো নাটক এবার ঈদে সম্প্রচার করেছে বিভিন্ন টেলিভিশন। এরমধ্যে ঈদের দ্বিতীয় দিন গাজী টিভিতে দেখানো হয়েছে আফসানা মিমি ও সিয়াম আহমেদ অভিনীত নাটক ‘ভালোবেসেছিলে’, ঈদের তৃতীয় দিন এটিএন বাংলায় দেখানো হবে ইরাজ আহমেদের রচনায় অপূর্ব-রিচি সোলায়মান অভিনীত নাটক ‘তুমি বসন্তে এসো’।

এদিকে ঈদুল আযহার জন্য নির্মিত চয়নিকার নতুন দুই নাটকের একটির নাম ‘রৌদ্রছায়া’ এবং অন্যটির নাম ‘মেঘলা মনের মেয়ে’। এরমধ্যে ঘরবন্দী সম্পর্কের গল্প নিয়ে নির্মিত নগদ নিবেদিত শাহরিয়ার শাকিল প্রযোজিত ‘রৌদ্রছায়া’ দীপ্ত টিভিতে দেখানো হয়েছে ঈদের দিন রাতে। প্রচারের পর থেকেই নাটকের গল্পটি প্রশংসা পাচ্ছে সব শ্রেণির দর্শকের কাছে। নাটকটির গল্প ও চিত্রনাট্য করেছেন কামরুল হাসান। দারুণ একটি গল্প আমাকে দেয়ায় সত্যিই আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ।

‘রৌদ্রছায়া’ দেখে অনেকেই মন্তব্য করেছেন, এটা অমুক তারকা দম্পতির গল্প, তমুকের গল্প। কিন্তু নির্মাতার ভাষ্য, এটি আসলে আমাদের চারপাশের মানুষের গল্প। অনেকেই এই গল্পের সাথে নিজের জীবনের গল্পের মিল খুঁজে পাবেন, এটাই স্বাভাবিক।

এই নাটকের জন্য মুশফিক ফারহানের প্রশংসা করেন চয়নিকা চৌধুরী। জানান, ফারহানের কাজের প্রতি ভালোবাসা দেখে আমি মুগ্ধ। শুটিংয়ের আগে রিহার্সেল দিতে খুব একটা ইদানিং দেখা না গেলেও তাকে দেখিছি আগের দিন থেকেই রিহার্সেল দিতে, নিজের চরিত্র নিয়ে ভাবতে।

এদিকে তুহিন বড়ুয়া প্রযোজিত ‘মেঘলা মনের মেয়ে’ নাটকে জুটি বেঁধে কাজ করেছেন এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তারিন ও এই প্রজন্মের তরুণ মুখ সালমান মুক্তাদির। তবে এটি অসমপ্রেমের গল্পের ইঙ্গিত কিনা? এমন প্রশ্নে চয়নিকা বলেন, না, এটিকে আমি বলতে চাই- অপ্রকাশিত অন্যরকম সম্পর্কের গল্প, যে সম্পর্কটা হয়তো আমরা সামাজিকভাবে বলতে পারি না। আমি গল্পটি নিয়ে এর বেশি কোনো ক্লু দিতে চাই না, শুধু এটুকু বলছি- এটি অসাধারণ একটি গল্পের নাটক। এই নাটকের মধ্য দিয়ে তারিনের সঙ্গে দীর্ঘ ছয় বছর পর কাজ করলাম। তাই খুব যত্ন নিয়ে কাজটি করেছি, আশা করি দর্শক সেই যত্নের ছাপ নাটকটিতে পাবেন। এ নাটকটির গল্প ফারিয়া হোসেনের।

চয়নিকা চৌধুরীকে সাধারণত পুরনো তারকা মুখদের নিয়েই বেশি কাজ করতে দেখা যায়। কিন্তু ‘মেঘলা মনের মেয়ে’ নাটকে তিনি প্রথমবার এ প্রজন্মের তরুণ মুখ সালমান মুক্তাদিরকে কাস্ট করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্মাতা বলেন, হ্যাঁ, কেউ ভাবতেই পারে নাই যে ওকে নিয়ে আমি কাজ করবো। কিন্তু ওকে নিয়ে কাজ করে সত্যিই আমার খুব ভাল লেগেছে। তারমধ্যে কিছু গুণ আমাকে মুগ্ধ করেছে, এরমধ্যে অনটাইমের আগে সেটে এসে রিহার্সেল করার বিষয় একটি।

নাটকটি দেখানো হবে একুশে টেলিভিশনে, ঈদের তৃতীয় দিন রাত ১১টা ৩০ মিনিটে।