বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির ২০১৯-২০২১ মেয়াদের কার্যনির্বাহী পরিষদের কমিটি বাতিল করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ১৬ নভেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে সদ্য আদেশে বাতিলকৃত প্রযোজক সমিতির নেতারা। এমনটাই চ্যানেল আই অনলাইনকে জানিয়েছেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু।
কার্যনির্বাহী পরিষদের কমিটি বাতিল করার কারণ হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯-২১ মেয়াদে প্রযোজক পরিবেশক সমিতির যে নির্বাচন হয়েছে, সেই নির্বাচনে খোরশেদ আলম খসরু, শরিফ উদ্দিন খান দিপু, সামসুল আলম এবং মনতাজুর রহমান আকবর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। কারণ তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগের রিট মামলার আদেশ রয়েছে।
এদিকে খসরু বলছেন, রিট মামলার আদেশটি হয়েছে ২০১৬-২০১৮ মেয়াদের নির্বাচনের জন্য। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৬-১৮ মেয়াদের নির্বাচনে আমরা নির্বাচন করতে পারবো না। কারণ এরআগে আমরা তিনবার নির্বাচিত হয়েছি। কিন্তু বর্তমান যে কার্যনির্বাহী কমিটি, সেটাতো ২০১৯-২১ মেয়াদে!
বর্তমান পরিস্থিতিতে মন্ত্রণালয়ের আদেশ মেনে নিলেও আপিলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি। খসরু বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমাদেরকে আত্মপক্ষের সুযোগ দেয়নি। তাদের এই আদেশের বিরুদ্ধে ১৫ দিনের মধ্যে আপিল করার সুযোগ আছে। আমরা মন্ত্রণালয়ের কাছে আগামি দুয়েক দিনের মধ্যেই আপিল করবো। আমরা আশাবাদী, ২০১৯-২১ মেয়াদী কমিটিকেই পুনর্বহাল করা হবে।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির ২০১৯-২১ মেয়াদের নির্বাচনটি নিয়ম মেনে হয়নি জানিয়ে অভিযোগ করেন অভিনেতা জায়েদ খান। যার প্রেক্ষিতে নির্বাচন নিয়ে তদন্ত করে প্রযোজক সমিতিকে বাতিল বলে ঘোষণা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
একই আদেশে বাণিজ্য অধ্যাদেশ ১৯৬১ এর ১০-এর ধারা অনুযায়ী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খন্দকার নুরুল হককে প্রযোজক পরিবেশক সমিতির প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। এই দায়িত্ব গ্রহণের একশ বিশ দিন সময়ের মধ্যে প্রশাসককে নির্বাচন সম্পন্ন করার আদেশও দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।