ইটালি ও ভ্যাটিক্যান সফর শেষে দেশে ফিরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে বক্তৃতার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী ৩টি সুসংবাদ দিয়েছেন, এক. বাংলাদেশের ফোর-জি যুগে প্রবেশ, দুই. মার্চে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ এবং তিন. যুক্তরাজ্যের কার্গো নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া। সত্যই বিষয়গুলো আনন্দের। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি তরঙ্গ বরাদ্দ দেওয়ার পর আজ থেকেই চালু হলো দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা ফোর-জি। রাজধানীর একটি ক্লাবে ফোর-জি লাইসেন্স হস্তান্তর করা হয়েছে টেলিকম অপারেটরদের মধ্যে। অপারেটররা আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছিল যে, লাইসেন্স পাবার পর অল্প সময়ের মধ্যেই ফোর-জি সুবিধা চালু করা হবে। সন্ধ্যা নাগাদ ঢাকা ও চট্টগ্রামে ফোর-জি চালু করেছে গ্রামীণফোন। তথ্য পাচার হয়ে যাবার কথিত ভয়ে সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত না হওয়ার সংস্কৃতি পায়ে ঠেলে বিশ্বের সর্বশেষ প্রযুক্তির স্বাদ নিচ্ছে জনগণ। প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারলে পিছিয়ে যেতে হবে উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক দিক থেকে। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে প্রযুক্তির পূর্ণমাত্রায় ব্যবহার নিশ্চিতে সকলকে কাজ করতে হবে বলে আমরা মনে করি। ফোর-জির মতো উন্নত ব্যবস্থা দেশের প্রান্তিক জনগোষ্টীর কাছে পৌঁছে দিতেও পদক্ষেপ নিতে হবে। জি, টু-জি, থ্রি-জি প্রযুক্তিগুলো নির্দিষ্ট সময়ে দেশে চালু হলেও ঢাকার বাইরে এই সেবাগুলো ঠিকভাবে না পাবার কিছু অভিযোগ রয়েছে। ফোর-জির ক্ষেত্রে যেনো সে ধরণের কোনো পরিস্থিতি না হয়, তা নিশ্চয়ই টেলিকম প্রতিষ্ঠানসহ রাষ্ট্রীয় তদারকি সংস্থাগুলো দেখবে। তাছাড়া জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে ইন্টারনেট গতির ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরণের প্যাকেজ ও তার মূল্য ঠিক হওয়াও জরুরি। সব বিষয় ইতিবাচক হলে প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের পাল্টে যাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। লাল-সবুজের অগ্রযাত্রা শুভ হোক।