প্রযুক্তিপণ্য আর প্রযুক্তি নির্ভর নানা সেবায় অভ্যস্থ হয়ে পড়েছে সারাবিশ্বের মানুষ। দৈনন্দিন জীবন সহজ করে তুলতে এসবের ব্যবহার দিনে দিনে বাড়ছে। স্মার্টফোন, ইন্টারনেট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়া জীবন কল্পনাই করা যায় না। তবে এসবের ভাল দিক যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে ক্ষতির বিভিন্ন দিক।
প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা ও ওইসব প্রযুক্তি পণ্যের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রথম সারির ব্যক্তিদের অনেকেই অনেক সময় প্রযুক্তিপণ্য ও সেবার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে নানা সাবধানতা জানিয়েছেন। এবার মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুক সাবধান করলেন প্রযুক্তিনির্ভরতা সর্ম্পকে।
ইংল্যান্ডের একটি স্কুলে বক্তব্যে টিম কুক বলেন, ‘আমার কোনো সন্তান নেই। আমার ভাইয়ের একটি ছেলে আছি, যাকে আমি ছেলের মতই দেখি। আমি চাই না আমার ভাইয়ের ছেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করুক। তাবে আমি বেশ কিছু সীমাবদ্ধতার মধ্যে রেখেছি। এছাড়া স্কুলগুলোতে প্রযুক্তিপণ্য ও সেবার ব্যবহার সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত’।
তিনি আরও বলেন, আমি মাত্রাতিরিক্ত প্রযুক্তি ব্যবহারে বিশ্বাসী নই। সবসময় প্রযুক্তির সংস্পর্শে থাকলেই জীবনে সাফল্য আসে না। আমি নিজেও সবসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাবস্ক্রাইব করি না বা যুক্ত থাকি না।
অতিরিক্ত প্রযুক্তিনির্ভরতা মানুষের চিন্তা ও কর্মক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
টিম কুকের মতো স্টিভ জবস ও বিল গেটসও এর আগে এসব বিষয়ে সাবধান করেছেন। বর্তমান সময়ে টেসলা, স্পেসএক্স ও সোলারসিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এলোন মাস্ক এবং ফেসবুকের প্রথম ও সাবেক প্রেসিডেন্ট শন পার্কার সামাজিক মাধ্যম, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ নানা বিষয়ে অনবরত সাবধান করে যাচ্ছেন। তারা মানবিক ও সহজাত বিষয়গুলোর প্রচার-প্রসার বাড়ানোর প্রতি জোর দিয়ে যাচ্ছেন।
শিশু-কিশোরদের ভবিষ্যত জীবনে প্রযুক্তি ও সামাজিক মাধ্যমের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন সমাজবিজ্ঞানীরাও। দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অনেকসময় দখলে নিয়েছে ফেসবুক-টুইটার-ইন্সটাগ্রামসহ নানা সামাজিক মাধ্যম। বলতে গেলে বিপুল সংখ্যক মানুষ তাদের পুরো অবসর এ মাধ্যমে ব্যয় করছে। ধীরে ধীরে যান্ত্রিকজীবনের ভয়াবহ পরিণিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে প্রজন্মের পরে প্রজন্ম।