চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের শিবরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে একই স্কুলের সহকারী শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ করেও তেমন কোনো সহায়তা পাননি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষিকা।

শিক্ষিকার অভিযোগ: একটি অপরিচিত নম্বর থেকে দীর্ঘ দিন ধরে এসএমএসের মাধ্যমে কুপ্রস্তাব আসতো একজন শিক্ষিকার মোবাইলে। এরপর স্কুল কতৃপক্ষকে জানানোর পর কোনো সমাধান না হওয়ায় থানায় জিডি করেন। পরে পুলিশের সহায়তায় জানা যায় ওই অপরিচিত নম্বর স্কুলের প্রধান শিক্ষকের। এরপর উপজেলা শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ করেও তেমন কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।

উপজেলা শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ ও জিডির সূত্রে জানা যায়: এসএমএসে কুপ্রস্তাব ও হুমকির বিষয়ে ওই সহকারী শিক্ষিকা ম্যনেজিং কমিটির সভাপতিসহ সংশ্লিষ্টদের জানান। পরে তাহিরপুর থানায় জিডি করেন (জিডি নং ১৭০)। এরপর পুলিশ প্রযুক্তির সহযোগিতায় জানতে পারে কুপ্রস্তাব ও হুমকি আসা ওই অপরিচিত মোবাইল নম্বরটি শিবরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের।

‘এরপর এসএমএস পাঠানোর বিষয়ে ওই শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চানতে চাইলে তখন প্রধান শিক্ষক ক্ষমা চেয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। লিখিতভাবে শিক্ষা অফিসে জানায় যে তিনি আর এমন কাজ করবেন না। এরপর কিছু দিন যেতে না যেতেই প্রধান শিক্ষক আরো বেশি উত্যক্ত করতে শুরু করেন। নিরুপায় হয়ে তাহিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে এই বিষয়টি নিয়ে ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর একটি লিখিত আবেদন করেন ওই শিক্ষিকা। আবেদনটি গ্রহণ করেছিলেন সহকারী শিক্ষা অফিসার বিপ্লব চন্দ্র সরকার।’

তখন এই বিষয়ে সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন শিক্ষা অফিসার। কিন্তু অভিযোগ দায়েরের তিন মাস পার হলেও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। সহকারী শিক্ষা অফিসার বিপ্লব চন্দ্র সরকার জানান: আমার কাছে শিবরামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা লিখিত অভিযোগ করেছেন। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) প্রধান শিক্ষা অফিসারসহ বিষয়টি যাচাই বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে বক্তব্য দেয়ার কথা বলে ফোন রেখে দেন। এরপর আর তিনি ফোন রিসিভ করেননি।