বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন। তার ভাষণ জাতিকে হতাশ, বিস্ময়-বিমূঢ় এবং উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এই ভাষণে বিদ্যমান জাতীয় সঙ্কট নিরসনে স্পষ্ট কোনো রূপরেখা নেই।
শনিবার বিকালে গুলশানে চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ভাষণের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ফখরুল বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে তিনি যা বলেছেন তা খুবই অস্পষ্ট, ধোঁয়াশাপূর্ণ, এবং বিভ্রান্তিকর। জাতি আশা করেছিল তার প্রধানমন্ত্রীত্বের এই মেয়াদপূর্ণ হওয়ার একবছর আগেই তিনি যে ভাষণ দেবেন সে ভাষণে থাকবে স্পষ্ট দিক নির্দেশনা, জাতীয় সংকট নিরসনে একটি স্পষ্ট রুপরেখা এবং জনগণের উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চয়তা দূর করার জন্য থাকবে বিভ্রান্তির বেড়াজালমুক্ত কর্ম পদক্ষেপ।
‘পাকিস্তানের সামরিক শাসক ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান তার শাসনের দশ বছর পূর্তি উপলক্ষে জাঁকজমকপূর্ণভাবে উন্নয়ন দশক পালন করেছিলেন। গণতন্ত্রহীন তথাকথিত উন্নয়ন জনগণ গ্রহণ করেনি। পরিণতিতে তার মত ‘লৌহমানব’কে ক্ষমতা থেকে গণঅভ্যূত্থানের মুখে বিদায় নিতে হয়েছিল।’
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারও ‘উন্নয়নমেলা’ করছে। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস পাকিস্তানি আমলের স্বৈরশাসকের মতো আঁকড়ে রাখার জন্য যে ধরণের চমকের আশ্রয় নিয়েছিলেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকারও সেই একই পথে হাঁটছে। এ দেশের সচেতন জনগণ সবকিছু জানে ও বোঝে। সুতরাং এ ব্যাপারে আমাদের কোন মন্তব্য বাহুল্যই হবে মাত্র।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রমুখ।