প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ দরকার হওয়ার পেছনে যে যান্ত্রিক ত্রুটি সেজন্য দায়িত্বে অবহেলাকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তদন্ত কমিটি।
কমিটি এজন্য বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে ইঞ্জিনিয়র অফিসার এস এম রোকেনুজ্জামান, সামিউল হক, লুৎফর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসেন এবং টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমানকে তাৎক্ষনিক বরখাস্ত করেছে বিমান।
বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, দোষীদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
২৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনে যোগ দিতে হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইট জরুরি অবতরণ করে তুর্কমেনিস্তানে। এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়। আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনে যোগ দিতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ওইদিন সকালে বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে (বিজি১০১১) হাঙ্গেরির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ওই ফ্লাইটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী, পানিসম্পদমন্ত্রীসহ ৯৯ জন আরোহী এবং ২৯ জন ক্রু ছিলেন।
ঘটনা তদন্তে গঠন করা হয় আলাদা তিনটি তদন্ত কমিটি। বিমান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার আগেই বিমানের তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তদন্ত কমিটি বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়। পরে তা পাঠানো হয় বিমানমন্ত্রীর কাছে।
ঘটনার জন্য সামগ্রিকভাবে বিমানের অদক্ষতাকে দায়ী করেছেন বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
গত রোববার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাতে জরুরি অবতরণ করে। কয়েকঘণ্টা পরে ত্রুটি সারিয়ে বিমানটি হাঙ্গেরির পথে রওনা দেয়।