চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

প্রধানমন্ত্রীর কাছে নাঈমুল ইসলাম খানের ৯ আবেদন

নবম ওয়েজ বোর্ডের রোয়েদাদ ঘোষণার আগে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ৯টি আবেদন জানিয়েছেন দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান।

রোবাবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই আবেদনগুলো তুলে ধরেন।

নাইমুল ইসলাম খান লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশে ১৯৮৮ সাল থেকে ৩১ বছর বেশকিছু সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার সংগ্রামী জীবনে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকে আমি কিছু বলতে চাই। এদেশে অনেক সাংবাদিক যোগ্যতা অনুসারে বেতনভাতা সুবিধা ও মর্যাদা পান না। কিন্তু এই পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্ভব।

যারা যোগ্য সাংবাদিক, মেধাবী ও পরিশ্রমী কিছু পদক্ষেপ নিলে তাদের যথাযথ মূল্যায়নসহ প্রস্তাবিত ৯ম ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়ন সবই সম্ভব। পদক্ষেপগুলো প্রসঙ্গে সরকারের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে দ্রুততম সময়ে।’’

তিনি সুনির্দিষ্ট করে তার প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন। সেগুলো হলো:
১. ডিএফপি’র মিডিয়া তালিকা জরুরি ভিত্তিতে ন্যায়নিষ্ঠ করতে হবে এবং ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের সনদও সত্যনিষ্ঠভাবে তৈরি করতে হবে।
২. সরকারি বিজ্ঞাপনের মূল্যহার নতুন ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাড়াতে হবে।
৩. বাংলাদেশে ই-টেন্ডারিং পদ্ধতি চালু করতে সংবাদপত্র দীর্ঘদিন দাবি করেছে, ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু এই ই-টেন্ডারিং প্রচলনের মানে এই নয় যে, টেন্ডারের বিজ্ঞাপন সংবাদপত্রে প্রকাশ করা হবে না অথবা একটি সংক্ষিপ্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশ করলেই হলো। এই ব্যবস্থাটা ই-টেন্ডারিং-এর চিরসমর্থক সংবাদপত্রের জন্য হয়ে গেল কাল। সংবাদপত্রে সরকারি বিজ্ঞাপন ভয়াবহ পরিমাণে হ্রাস পেয়ে হলো বিরাট বিপদ। আমার প্রস্তাব হচ্ছে ই-টেন্ডারিংয়ের ক্ষেত্রেও পূর্বের মতো পুরো বিজ্ঞাপন সংবাদপত্রে প্রকাশ করার বিধান করা। অর্থাৎ সরকারি বিজ্ঞাপনের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
৪. সরকারি বিজ্ঞাপন পেতে অনেক ক্ষেত্রেই সংবাদপত্রগুলোকে ঘুষ/কমিশন দিতে হয়। এই ঘুষ প্রদানের হাত থেকে সংবাদপত্রকে মুক্তি দিতে হবে।
৫. সরকারি, আধা-সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের বিল পরিশোধ বিজ্ঞাপন ছাপার ৬ মাসের মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে।
৬. সংবাদপত্রের জন্য সরকার-নির্ধারিত বিজ্ঞাপনের মূল্যহার কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান অমান্য করতে পারবে না-এই মর্মে নিশ্চয়তা দিতে হবে।
৭. সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন বিতরণে কোনো জরুরি কারণ ছাড়া মধ্যস্বত্বভোগী (এজেন্সি) নিয়োগ করা যাবে না। প্রতিষ্ঠান থেকে সরাসরি বিজ্ঞাপন বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে।
৮. সরকারি বিজ্ঞাপন বিতরণে বিচিত্র/অদ্ভুত এবং কখনও যার যেভাবে ইচ্ছা পদ্ধতির পরিবর্তে সকল প্রতিষ্ঠানের জন্য আবশ্যিক অনুসরণীয় ন্যায় ও নীতিমালাভিত্তিক অভিন্ন গাইড লাইন প্রবর্তন করতে হবে।
৯. সরকারি বিজ্ঞাপনের বিশাল বকেয়া পরিশোধে জরুরি তহবিল প্রদান করতে হবে।