প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামীকাল ১২ নভেম্বর আগমনী বার্তায় বগুড়া শহরকে যেমন বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে তেমনি পরিণত হয়েছে উৎসবের নগরীতে। বিলবোর্ড, ব্যানার, প্যানায় ছেয়ে গেছে শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো। এসব বিলবোর্ড, প্যানায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি বগুড়াবাসীর প্রাণের দাবিও শোভা পাচ্ছে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী বগুড়া শহরের আলতাফুননেছা খেলার মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তৃতা করবেন। এই জনসভাকে ঘিরে বগুড়াবাসীর উৎসাহ উদ্দীপনার যেনো কোনো কমতি নেই। সেই উপলক্ষে আলতাফুননেছা খেলার মাঠে বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।
এই জনসভাকে ঘিরে বগুড়াবাসীর দাবিরও যেন কমতি নেই। এই দাবি গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বগুড়া পৌরসভাকে সিটি করপোরেশন ঘোষণা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেল লাইন নির্মাণসহ আরো অনেক দাবি।
প্রধানমন্ত্রী এই জনসভাস্থলে স্থাপিত ডিজিটাল ইলেক্ট্রনিক বোর্ডের মাধ্যমে নব নির্মিত প্রায় হাজার কোটি টাকার ১৯টি স্থাপনা উদ্বোধন ও ১৪টি স্থাপনার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন।
এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী জনসভা থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিবেন, যাতে বগুড়াবাসীর দীর্ঘদিনের আশা আকাক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। দীর্ঘদিন অবহেলিত থাকা বগুড়ার অনেক উন্নয়ন ঘোষণা আসবে প্রধান মন্ত্রীর এ সফরে।
চলতি দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হবার পর বগুড়ায় প্রধানমন্ত্রীর এটিই প্রথম সফর। আর তাই এই সফর অনেক গুরুত্ব বহন করছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে বগুড়া চলতে তুমুল আলোচনা। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপির নেতার্মীরাও আলোচনায় অংশ নিচ্ছে। সাধারন মানুষতো এ নিয়ে বেশি কৌতুহলী।
বর্তমান সরকার যদি সিটি করপোরেশন ঘোষণা করে, তবে এটা ভোটের রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। পাশাপাশি বগুড়ায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে এ অঞ্চলের লেখাপড়ার ক্ষেত্রে আশার আলো দেখা দেবে।