প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মশালায় আঁকা ৭১টি প্রতিকৃতি ও জামালপুরের ঐতিহ্যবাহী সুঁচিশিল্পের ১৭ দিনের প্রদর্শনী আজ শেষ হয়েছে। প্রদর্শনী ৭ দিনের জন্য র্নিধারিত থাকলেও দর্শনার্থীদেও অনুরোধে দুই দফায় আরো ১০ দিন বাড়ানো হয়।
আজ রবিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে প্রদর্শনীটির সমাপনী অনুষ্ঠান হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ৭১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যৌথভাবে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল হাসুমণির পাঠশালা ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর।
এই বিশেষ প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়াদুল কাদের এম পি। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ সামাদ, বরেণ্য শিল্পী অধ্যাপক জামাল আহমেদ ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী।
প্রধান অতিথির সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে হাসুমণি’র পাঠশালার আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করে ওবায়াদুল কাদের বলেন, এমন এক্সট্রাঅর্ডিনারী আয়োজন সারাদেশে ছড়ানো উচিত। জামালপুরের তৃণমূলের যেসব নারীরা সূঁচিশিল্পের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তুলে ধরেছেন তা অকল্পনীয়। তাদের হৃদয়ের কত গভীরে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং শেখ হাসিনার অবস্থান তা এই শিল্পকলাগুলো দেখলে অনুধাবণ করা যায়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপচার্য ড. মুহাম্মদ সামাদ ১৯৮১ সালে শত বাঁধা ঠেলে বঙ্গবন্ধু কন্যার দেশে ফিরে আসার এবং স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণের শপথের কথা মনে করে আবেগী বর্ননা দেন। পরে নিজের লেখা ’ভূমিকন্যা’ পাঠ করে শোনান প্রো-উপাচার্য।
এই জন্মোৎসব আয়োজন প্রধান হাসুমণির পাঠশালা’র সভাপতি মারুফা আক্তার পপি জানান, ‘হাসুমণি’ শব্দটা বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের প্রতীকী শব্দ। বঙ্গবন্ধু তার বড় মেয়ে শেখ হাসিনাকে আদর করে ‘হাসুমণি’ বলে ডাকতেন। যেমনটি বাংলার ঘরে ঘরে প্রতিটি বাবা-মা তাদের প্রাণপ্রিয় সন্তানকে আদর করে সোনামণি বা যাদুমণি বলে ডাকেন। শেখ হাসিনার জন্মদিনের এ আয়োজনে ৭১টি প্রতিকৃতি প্রদর্শনী, চিত্রাঙ্কন কর্মশালা এবং ৭১ ফুট ক্যানভাসে খুদে শিল্পীরা আঁকছে ওদের স্বপ্নের সোনার বাংলা ‘হাসুমণির বাংলাদেশ’।
গত ১২ অক্টোবর শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে নবীণ-প্রবীণ শিল্পীদের আঁকা প্রধানমন্ত্রীর ৭১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ৭১টি আঁকা প্রতিকৃতি ও জামালপুরের ১০১টি সূঁচিশিল্প নিয়ে এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছিল। এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এম পি ও প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এম পি।