রান উঠেছে ১২৮। উইকেট পড়েছে একটি। ক্রিজে যারা আছেন, তাদেরও বেশ স্বাচ্ছন্দ্য মনে হচ্ছে। শনিবার স্বাগতিকদের এমন ব্যাটিং দেখে কমেন্ট্রিবক্সে শামীম আশরাফ চৌধুরীর সঙ্গে থাকা ক্যারিবীয় ধারাভাষ্যকার ড্যারেন গঙ্গা ইংরেজি লেখকের উদ্ধৃতি দিয়ে বললেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ঘণ্টায় ট্রেন মিস করে গেছে।’
বাংলাদেশ: ৩৮৭/৬
শুধু প্রথম ঘণ্টা নয়, টানা লাঞ্চ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ট্রেন মিস করে গেছে। বাংলাদেশের রান বাড়িয়ে নেয়ার যে পরিকল্পনা ছিল, তাতে তারা অনেকটা সফল।
শুক্রবার ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫৯ রান তুলে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছিলেন সাকিব-রিয়াদ। লাঞ্চ পর্যন্ত সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩৮৭। লিটন ৫৩ এবং রিয়াদ ৭৫ রানে অপরাজিত আছেন।
সাকিব ৫৫ রান নিয়ে দিন শুরু করেন। তিনি ফেরেন ৮০ রানের মাথায়। রিয়াদের উইকেটও পড়তে পারতো। দিনের তৃতীয় ওভারে রোচের ভেতরে ঢোকা এক শর্ট বলে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি। বল অল্পের জন্য মাটি ছুঁয়ে ফিল্ডারের হাতে ওঠে। থার্ড-আম্পায়ার পর্যন্ত সিদ্ধান্ত দিতে হিমশিম খেয়েছেন। টিভি মাইক্রোফোনে তাকে বলতে শোনা গেছে, ‘আমি ঠিক নিশ্চিত করে বলতে পারছি না, বল প্রথমে মাটি ছুঁয়েছে নাকি তার আগে হাত গেছে।’ শেষ পর্যন্ত অবশ্য তিনি নটআউটই ঘোষণা করেন।
আগের দিন বাংলাদেশ ভালো সংগ্রহ পায় নবাগত সাদমান ইসলামের দারুণ ব্যাটিংয়ে। ১৯৯ বল খেলা এ বাঁহাতি ওপেনার থামেন ৭৬ রানে।
উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৪২ রান। সৌম্য সরকার ১৯ রান করে রোস্টন চেজকে উইকেট বিলিয়ে আসেন দিনের প্রথম ঘণ্টা পার করে। মুমিনুল ২৯ করে ফিরে যান। মোহাম্মদ মিঠুনও করেন ২৯।
শুক্রবার দিনের শেষ উইকেট হিসেবে সাজঘরে যান মুশফিকুর রহিম। চা-বিরতির পর ব্যাটিংয়ে নেমে টেস্টে ৪ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করে বোল্ড হন গ্যাব্রিয়েলের জায়গা মিরপুর টেস্ট খেলতে নামা লুইসের বলে। ফেরার আগে করেন ১৪ রান।